দ্বিতীয় গোলের পর মেক্সিকোর উল্লাস। ছবি: এপি।
ভেনেজুয়েলার কাছে হেরে কোপা আমেরিকা সেন্তেনারিও থেকে যে দিন ছিটকে গেল উরুগুয়ে, সে দিনই কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়ে ফেলল মেক্সিকো। মেক্সিকোর কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছনো যতটা প্রত্যাশিত ছিল ঠিক ততটাই অপ্রত্যাশিত ছিল উরুগুয়ের ছিটকে যাওয়া। কোপা আমেরিকায় আর দেখা যাবে না গ্রিজম্যান, সাঞ্চেজ, রামিরেজ, কাভানিদের।
শুরুতেই রোবার্তো হোসে রোজালেসের চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়াটা ভেনেজুয়েলার উপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। প্রথমার্ধের শুরুতে উরুগুয়ের দাপট ছিল অনেকটাই বেশি। পর পর গোলের সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল ম্যাচ শেষে। গোলের মুখ খুলতেই পারলেন না কাভানিরা। আর এক সুযোগে এক গোলে বাজিমাত ভেনেজুয়েলার। ৩৬ মিনিটে যখন প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে গুয়েরার শট মুসলেরা কোনও রকমে বাইরে পাঠালেন তখন বক্সের মধ্যে চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিলেন জিমেনেজ। ফিরতি বলে তাঁর শট মুসলেরাকে আর জায়গা থেকে সরতে দেয়নি। খেলার শেষ এখানেই। ফল ১-০। দ্বিতীয়ার্ধে আবারও লেখা থাকল উরুগুয়ের গোল নষ্টের কাহিনী। যেখানে রাজা কাভানি।
অন্য দিকে জামাইকাকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেল মেক্সিকো। ম্যাচ শুরুর ১৮ মিনিটের মধ্যেই হার্নান্ডেজের গোলে এগিয়ে যায় মেক্সিকো। জেসাস কোরোনার মাপা ক্রস মর্গ্যানের মাথার উপর দিয়ে সরাসরি এসে পড়েছিল চিচারিতোর মাথায়। সেই বলই প্রতিপক্ষের দুই সেন্টার ব্যাকের মাঝখান দিয়ে প্রতিপক্ষের গোলে পাঠাতে কোনও বেগ পেতে হয়নি ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা চিচারিতোকে। আর এক গোল করলেই মেক্সিকোর সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা জেয়ার্ড বোরগেত্তিকে ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। তাঁর গোল ৪৬। চিচারিতো করে ফেলেছেন ৪৫। এই কোপাতেই হয়তো তিনি ভেঙে ফেলবেন সেই রেকর্ড। দ্বিতীয় গোল পেরালতা মোরোনেসের। এর সঙ্গে অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে মেক্সিকো গোলকিপার ওচোয়াকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy