Advertisement
E-Paper

মোহনবাগান ম্যাচ পিছোল, আশা হারাচ্ছেন না শিল্টনরা

রবিবারই গোয়া থেকে ট্রেনে কালিকট  পৌঁছেছে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর টিম। সেখানেই এ দিন সরকারি ভাবে ম্যাচ পিছনোর খবরটি পেয়ে খুশি দিপান্দা ডিকারা। পরপর তিনটি ম্যাচ জিতে খেতাবের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছে মোহনবাগান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৬
লক্ষ্য: শেষ ম্যাচে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান শিল্টন। ফাইল চিত্র

লক্ষ্য: শেষ ম্যাচে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান শিল্টন। ফাইল চিত্র

খেতাব যুদ্ধ হঠাৎ-ই চর্তুমুখী হয়ে যাওয়ায় মোহনবাগান-গোকুলম ম্যাচ দু’দিন পিছিয়ে দিল ফেডারেশন। ৬ মার্চের বদলে তা হবে ৮ মার্চ। ফলে খেতাবের লড়াইতে মিনার্ভা পঞ্জাব নেরোকা, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে একই দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মোহনবাগান খেলবে। একই দিনে, একই সময়ে।

ইস্টবেঙ্গল-শিলং ম্যাচ ড্র হওয়ার পর অবশ্য আলাদা কোনও উচ্ছ্বাস নেই মোহনবাগান শিবিরে। খেতাবের লড়াইতে টিঁকে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন শব্দটা ড্রেসিংরুমে ঢুকতে দিতে নারাজ সবুজ-মেরুন শিবির। বরং মনের ভিতর উত্তেজনার চোরাস্রোত চললেও দিপান্দা ডিকা থেকে শিল্টন পাল সবাই বলছেন, ‘‘কে কোথায় কী করল ভেবে লাভ নেই। আমাদের শেষ ম্যাচ জিততে হবে।’’

রবিবারই গোয়া থেকে ট্রেনে কালিকট পৌঁছেছে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর টিম। সেখানেই এ দিন সরকারি ভাবে ম্যাচ পিছনোর খবরটি পেয়ে খুশি দিপান্দা ডিকারা। পরপর তিনটি ম্যাচ জিতে খেতাবের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছে মোহনবাগান। ডিকা ফোনে বললেন, ‘‘যে ভাবে লিগ টেবলের উপরের দিকের টিম পয়েন্ট নষ্ট করছে, তাতে আমাদের তো সুযোগ আসলেও আসতেই পারে। সে জন্য একসঙ্গে সবার ম্যাচ হওয়াটা জরুরি ছিল।’’ সর্বোচ্চ গোলদাতার ট্রফির দৌড়ে বারো গোল করে সবার আগে রয়েছেন ডিকা। গতবারও শিলং লাজংয়ে সেরা গোলদাতা হয়েছেন ক্যামেরুন স্ট্রাইকার। কিন্তু ট্রফি পাননি। এ বার তাই ব্যক্তিগত ট্রফির চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন খেতাবকে। বললেন, ‘‘জানি না, শেষ পর্যন্ত ভাগ্যে কী আছে। তবে শেষ ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে। মোহনবাগানে তো এসেছিলাম ট্রফির জন্যই।’’

দলের দুই সিনিয়র ফুটবলার শিল্টন পাল এবং কিংশুক দেবনাথ অফিস ফুটবল খেলতে গোয়া থেকে চলে গিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। তাঁদের কালিকট ফেরার কথা বুধবার। যাঁর অধিনায়কত্বে শেষ বার সবুজ-মেরুন তাঁবুতে খেতাব এসেছিল সেই শিল্টন সেখান থেকে বললেন, ‘‘খেতাব নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শেষ ম্যাচ জেতা। তার পর যা হয় হোক। কিন্তু যে-হেতু লিগে অনেক কিছু হচ্ছে তাই ম্যাচটা একসঙ্গে সবার খেলা উচিত। এতে সুবিধাই হয়েছে। বাড়তি বিশ্রামও পাবে টিম।’’ আর কিংশুকের মন্তব্য, ‘‘ভালই হয়েছে। সবাই একসঙ্গে খেলুক। তার পর যা হওয়ার হোক।’’ এ দিন অবশ্য ইস্টবেঙ্গল-শিলং লাজং ম্যাচ দেখেননি মোহনবাগান ফুটবলাররা। কালিকটের কলেজ মাঠে ওই সময়ই অনুশীলন রেখেছিলেন শঙ্করলাল। তবে অনুশীলন চলতে চলতে আক্রম মোগরাভিরা খোঁজ নিচ্ছিলেন শিলংয়ের। ইস্টবেঙ্গল ড্র করেছে শুনে শিল্টনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা যেখানে ছিলাম সেখানেই রয়েছি।’’

Shilton Paul Mohun Bagan I League Gokulam FC Football
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy