Advertisement
E-Paper

জিতেও ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে রাখছেন শঙ্কর

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন পিন্টু মাহাতোরা, এ দিন কল্যাণীতে সেখান থেকেই শুরু করলেন। অর্থাৎ, ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে আক্রমণের ঝড় তোলা। চার মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু অভিষেক আম্বেকরের দূরপাল্লার শট কোনও মতে বাঁচান এরিয়ান গোলরক্ষক সৌভিক সাঁতরা। যদিও পাঁচ মিনিটের মধ্যেই শিল্টন ডি’সিলভার গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। নেপথ্যে হেনরি। 

শুভজিৎ মজুমদার

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১৫
অভিনব: প্রিয় পোষ্যকে গোল উৎসর্গ করে উচ্ছ্বাস ডিকার। সঙ্গী হেনরি ও অরিজিৎ। বুধবার কল্যাণীতে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

অভিনব: প্রিয় পোষ্যকে গোল উৎসর্গ করে উচ্ছ্বাস ডিকার। সঙ্গী হেনরি ও অরিজিৎ। বুধবার কল্যাণীতে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

মোহনবাগান ২ এরিয়ান ০

কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বির চার দিন আগে স্বস্তির জয়। দুরন্ত ছন্দে মোহনবাগানের দুই প্রধান অস্ত্র দিপান্দা ডিকা ও হেনরি কিসেক্কা। বুধবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে এরিয়ানকে হারানোর পর থেকেই মোহনবাগান সমর্থকদের গলায় হুঙ্কার, ডার্বিতে ডিকাদের আটকানোর ক্ষমতা নেই ইস্টবেঙ্গলের। ব্যতিক্রম কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। তিনি এগিয়ে রাখছেন ইস্টবেঙ্গলকেই!

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন পিন্টু মাহাতোরা, এ দিন কল্যাণীতে সেখান থেকেই শুরু করলেন। অর্থাৎ, ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে আক্রমণের ঝড় তোলা। চার মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু অভিষেক আম্বেকরের দূরপাল্লার শট কোনও মতে বাঁচান এরিয়ান গোলরক্ষক সৌভিক সাঁতরা। যদিও পাঁচ মিনিটের মধ্যেই শিল্টন ডি’সিলভার গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। নেপথ্যে হেনরি।

অরিজিৎ বাগুইয়ের কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেডে নামিয়ে দেন শিল্টনকে। গোল করতে ভুল করেননি সবুজ-মেরুন মিডফিল্ডার। দ্বিতীয় গোলের নেপথ্যেও হেনরি। এ বার তিনি গোল করান ডিকাকে দিয়ে। গোল করেই মাঠে হামাগুড়ি দিতে শুরু করলেন ক্যামেরুন স্ট্রাইকার! শিশু সন্তানকে কি গোল উৎসর্গ করলেন তিনি? ম্যাচের পরে হাসতে হাসতে ডিকা বললেন, ‘‘আমার সারমেয় স্নোকির আজ জন্মদিন। গোলটা ওকেই উৎসর্গ করলাম।’’ তবে ডার্বি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নন তিনি। বলে দিলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সারা দিন বিশ্রাম নেব। তার পরে ডার্বির কথা ভাবব।’’ যোগ করলেন, ‘‘আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছন্দ ও ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।’’

মোহনবাগান কোচ অবশ্য বুধবার কল্যাণী থেকেই ডার্বির মানসিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। লাল-হলুদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুভাষ ভৌমিকের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে এগিয়ে রাখলেন প্রতিপক্ষকে। বললেন, ‘‘মোহনবাগানের কোচ হতে পেরেছি সুভাষদার জন্যই। অনেক ‘এ’ লাইসেন্স কোচ সেই সময় আবেদন করেছিল। সুভাষদা আমাকেই নির্বাচিত করেছিলেন।’’

ইস্টবেঙ্গলে এখনও পর্যন্ত কোনও বিদেশি স্ট্রাইকার নেই। রাশিয়া বিশ্বকাপে কোস্টা রিকার হয়ে খেলা ডিফেন্ডার জনি আকোস্তার সই নিয়ে জটিলতা কাটলেও এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ খেলেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষকে এগিয়ে রাখার অর্থ তো মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়ানো? সবুজ-মেরুন কোচের ব্যাখ্যা, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের গভীরতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। তার উপরে সদ্য বিশ্বকাপ খেলা আসা ডিফেন্ডার যোগ দিয়েছে। যার অর্থ, ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ আরও শক্তিশালী হল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলকে হারানো খুব কঠিন। আমাদের চেয়ে অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে ওরা।’’

Football CFL Calcutta Football League Mohun Bagan Aryan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy