চার চারটে ট্রফি জিতলেন। টুনার্মেন্টের সেরা হলেন। জাতীয় চ্যাম্পিয়নকেও হারালেন। মুম্বইয়ের খারে জিমখানা ক্লাবের কোর্টে যখন একের পর এক ট্রফি জিতছেন মৌমা দাশ, তখন হাততালি দিয়ে উদ্বেল দর্শকরা।
অল ইন্ডিয়া পাবলিক সেক্টর টুনার্মেন্টে দেশের প্রায় সব টেবল টেনিস তারকাই খেলেন। অফিস টুনার্মেন্ট হলেও অনেকেই এই টুনার্মেন্টকে তুলনা করেন জাতীয় টিটি-র সঙ্গে। সেখানেই চমকে দিলেন বাংলা টিটি-র এই সোনার মেয়ে অলিম্পিয়ান। মুম্বই থেকে ফোনে মৌমা বললেন, ‘‘কবে শেষ এই টুনার্মেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছি মনে করতে পারছি না। দেশের প্রায় সব তারকাই খেলেছেন এ বারও। এ বার তৈরি হয়ে এসেছিলাম। তবে বিশ্বাস করুন ভাবিনি এতগুলো ট্রফি পাব।’’ ব্যাক্তিগত বিভাগে সোনা, ডাবলসে নন্দিতা সাহাকে সঙ্গে নিয়ে সোনা, টিম ইভেন্টে ব্রোঞ্জ এবং এর জেরে টুনার্মেন্টের সেরা।
বয়স চৌত্রিশ ছুঁইছুঁই। নিয়মিত বাজার করেন। রান্না করেন। তারপর অফিস এবং ছয়-সাত ঘণ্টা অনুশীলন। তাতেও কীভাবে এমন সাফল্য? রিও অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করে আসা মৌমার হাসতে হাসতে জবাব, ‘‘আসলে বয়সটা কোনও বাধা নয় এটা প্রমান করতে চাই। সামনের বছর কমনওয়েলথ গেমস আছে অস্ট্রেলিয়ায়। আপাতত সেটায় পদকের লক্ষ্যেই তৈরি হব। তারপর অবসর নেওয়ার কথা ভাবছি। কারণ পরিবারের কথাও তো ভাবতে হবে।’’
মৌমা নেমেছিলেন তাঁর অফিস ক্লাব অয়েল ইন্ডিয়ার হয়ে। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি উড়িয়ে দেন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মাধুরিকা পাটকারকে। আর সোমবার ফাইনালে হারান পুজা সহস্যবুদ্ধিকে। ডাবলস ফাইনালে অবশ্য তাঁকে খেলতে হয়নি। ওয়ারওভার পেয়েই ট্রফি জেতেন মৌমা-নন্দিতা। প্রতিপক্ষ নামেনি অদ্ভুত এক কারণে। উল্টোদিকে খেলার কথা ছিল দেশের দু’নম্বর খেলোয়াড় এবং বঙ্গ তনয়া সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ও চার্ভি চান্ডিলার জুটির সঙ্গে। কিন্তু চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে চলে যান সুতীর্থা। ম্যাচের সময় সেখান থেকে ফিরতে পারেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy