মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে আবার সেই পুরনো বিধ্বংসী মেজাজে দেখল রবিবারের ইডেন।-সুদীপ্ত ভৌমিক
ইডেনে স্লোগান উঠল ‘মাহি মার রহা হ্যায়’। আর ক্লাব হাউজে তখন বসে আছেন তাঁর পুরনো বন্ধুরা। কেউ ঝাড়খণ্ডে তাঁর সঙ্গে রেলে চাকরি করতেন বা খেলতেন। কেউ তাঁকে চা খাওয়াতেন। কেউ আবার রাঁচীতে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।
জনা কুড়ি পুরনো বন্ধুকে উপহার দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ১০৭ বলে ১২৯ করে তিনিই বিজয় হাজারে ট্রফিতে জেতালেন ঝাড়খণ্ডকে। বেশ কঠিন পরিস্থিতিতে এল এই সেঞ্চুরি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫৭-৬ হয়ে গিয়েছিল ঝাড়খণ্ড। সেখান থেকে সপ্তম উইকেটে ১৫১ রান যোগ করলেন ধোনি এবং শাহবাজ নাদিম।
ম্যাচ জেতানো সেই ইনিংস দেখে মুগ্ধ ছত্তীসগঢ় অধিনায়ক, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। বলে গেলেন, ‘‘জানি না কেন ও টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছে। আমার তো মনে হয় ধোনি এখনও সমস্ত ফর্ম্যাটেই খেলতে পারত।’’ যোগ করলেন, ‘‘ধোনিকে আমি অনেক দিন ধরে দেখছি। মনে হয় না ও কিছু হারিয়েছে। এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে ওর।’’ ঝাড়খণ্ডের ইনিংসের শেষ বলে ধোনি যখন আউট হলেন, কাইফ-সহ তাঁদের দলের প্রত্যেকে হাত মিলিয়ে এলেন।
স্বভাবসিদ্ধ সেই ‘ফিনিশার’-এর ভঙ্গিতেই ইনিংসকে সাজালেন ধোনি। শুরুতে মন্থর ছিলেন। সময় নিলেন উইকেটে থিতু হতে। তারপর শেষের দিকে পৌঁছে টপ গিয়ারে উঠলেন। ইনিংসে ১০টি চার ও ৬টি বিশাল ছক্কার বেশির ভাগই এল শেষের দিকে। যদিও একেবারে প্রথম বলেই আউটের জোরাল আবেদন থেকে বাঁচেন তিনি। তার পর বাঁচলেন কয়েকটি জোরাল এলবিডব্লিউ আবেদন থেকেও। ঝাড়খণ্ড ২৪৩-৯ তোলে ৫০ ওভারে। ছত্তীসগঢ় হারে ৭৮ রানে। ধোনি-শো এ বার ইডেন থেকে চলে যাচ্ছে কল্যাণীতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy