রঞ্জি ফাইনালের তৃতীয় দিন মুম্বই প্রথম ইনিংসে গুজরাতের থেকে ১০০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে যখন বিপজ্জনক ৬৬-২, শ্রেয়স আইয়ার-সূর্যকুমার যাদব জুটি বাঁধেন। যে দু’জনের আগের ইনিংসে আউটের ধরনের প্রতিক্রিয়ায় মুম্বই কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের মন্তব্য ছিল, ‘‘আমি কী ভাবছি মিডিয়ার জেনে কী লাভ? ওদের আউটের শট দু’টো নিয়ে যা ভাবার মিডিয়াই ভেবে নিক!’’ বৃহস্পতিবার অবশ্য শ্রেয়স-সূর্যের সেঞ্চুরি (১২৭) পার্টনারশিপই মুম্বইকে চব্বিশ ঘণ্টা আগে ম্যাচে যে অবস্থায় ছিল, অন্তত তার চেয়ে ভাল জায়গায় রেখেছে। হাতে সাত উইকেট নিয়ে মুম্বইয়ের (২০৮-৩) ১০৮ রানে এগিয়ে থাকা দেখে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ তাদের ৪২ নম্বর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গন্ধও পাচ্ছেন।
এ দিন শেষ সেশনে শ্রেয়স (৮২) তাঁর উপর্যুপরি দ্বিতীয় রঞ্জি ফাইনাল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র আঠারো রান দূরে থেমে না গেলে মুম্বইকে আরও ভাল দেখাত, সন্দেহ নেই। তেমন এটাও নিঃসন্দেহ, শ্রেয়স-সূর্য (৪৫ ব্যাটিং) সফল জুটির আগে তাঁদের আক্রমণের ভিত গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের টিনএজার বাঙালি ওপেনার। সতেরোর পৃথ্বী সাউ এ দিন ৪৪ করতে ৩৫ বল নেন। ফের রকমারি শটের ফুলঝুরি! বাঁ-হাতি পেসার কালারিয়ার এক ওভারে তিনটে বাউন্ডারি নেওয়ার পর চিন্তন গাজাকে ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে ড্রাইভ মারতে গিয়ে থার্ডম্যানে আরপি-কে কঠিন ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান। তাতেও বিন্দুমাত্র না ঘাবড়ে পরের পাঁচ বলে চারটে বাউন্ডারি মারেন পৃথ্বী। আবার একটা বড় ইনিংস যখন বিস্ময় কিশোরের থেকে দেখার আশায় ছিল মুম্বই, তখনই গাজাকে (৩-৫৪) ড্রাইভের টাইমিংয়ের ভুলচুকে উইকেট দিয়ে আসেন পৃথ্বী। তাঁর টিম কোচ পণ্ডিত তাই বলছেন, ‘‘ঠিকই আছে। তবে বাচ্চা ছেলেটা আর একটু ধরে খেললে আরও অনেক রান করতে পারত রঞ্জি ফাইনালের দু’ইনিংসেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy