উইম্বলডনে প্রথম রাউন্ডে খেলতে নেমে কোর্টের ঘাসের মতো মসৃণ ছিল তাঁর নড়াচড়া। সেই খেলাই বদলে গেল আচমকা। কারণ, পেটের সমস্যা। তা নিয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেলেন নোভাক জোকোভিচ। সৌজন্যে চিকিৎসকের দেওয়া ‘অলৌকিক ওষুধ’। আলেকজ়ান্দ্রে মুলারকে হারালেন ৬-১, ৬-৭, ৬-২, ৫-২ গেমে। মেয়েদের বিভাগে বড় অঘটন। দ্বিতীয় বাছাই কোকো গফ প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছেন।
প্রথম সেটে নিজস্ব ছন্দে ছিলেন জোকোভিচ। প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেননি। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে তাঁর খেলায় আচমকাই ছন্দপতন হয়। বোঝাই যাচ্ছিল, কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। ছ’টি সেট পয়েন্ট পেয়েও জিততে পারেননি জোকোভিচ। তৃতীয় সেটে দু’বার কোর্টেই চিকিৎসককে ডাকতে হয়। অবশেষে তিন ঘণ্টা ২০ মিনিটের লড়াইয়ে জেতেন তিনি।
ম্যাচের পর বলেন, “৪৫ মিনিটের মধ্যে নিজের সেরা টেনিস থেকে সবচেয়ে খারাপ টেনিস খেলার দিকে চলে গিয়েছিলাম। জানি না পেট খারাপ হয়েছিল কি না। তবে খুব সমস্যা হচ্ছিল। চিকিৎসক অলৌকিক কী সব ওষুধ দিলেন, যেটা খেয়ে ম্যাজিকের মতো কাজ হল। তাই ম্যাচটা ভাল ভাবে শেষ করতে পেরেছি।”
অসুস্থ হলেও জোকোভিচের অসাধারণ ফিটনেসের নমুনা গোটা ম্যাচেই দেখা গিয়েছে। বেসলাইন থেকে তাঁর শট মুলারকে বার বার বিপদে ফেলেছে। প্রতিপক্ষকে ভুল করতে বাধ্য করেছেন জোকোভিচ। রজার ফেডেরারের রেকর্ড আট বার উইম্বলডন জেতার দৌড়ে রয়েছেন সার্বিয়ার খেলোয়াড়।
এ দিকে, সপ্তাহ তিনেক আগে ফরাসি ওপেন জেতা গফের ছিটকে যাওয়া উইম্বলডনের অন্যতম বড় অঘটন। তাঁকে উইম্বলডন জয়ের দাবিদার হিসাবে ধরা হচ্ছিল। তবে ২১ বছরের ডায়ানা ইয়াসস্ত্রেমস্কার কাছে ৬-৭, ১-৬ গেমে হারেন গফ। গত বছরও তিনি প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
ম্যাচের পর গফ জানালেন, সুরকির কোর্ট থেকে দ্রুত ঘাসের কোর্টে সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর কথায়, “ফরাসি ওপেনের পর যে যে জিনিস সামলাতে হয়েছে তাতে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলাম। ট্রফি জয়ের উচ্ছ্বাসও ঠিক ভাবে করতে পারিনি। ফরাসি ওপেন জিতে উইম্বলডন খেলতে নামার অভিজ্ঞতা প্রথম। ভুল থেকে অনেক শিক্ষা নিয়েছি।”
গত বারের বিজয়ী বারবোরা ক্রেজিকোভা ছিটকে যাওয়ার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন। তিন সেটে হারিয়েছেন আলেকজ়ান্ডার এয়ালাকে। ইয়ানিক সিনার, ইগা শিয়নটেক, টেলর ফ্রিৎজ়রা অনায়াসে পরের রাউন্ডে চলে গিয়েছেন।