এ বার বিতর্ক শুরু ভারতীয় বক্সিংয়ে। দেশের বক্সিং সংস্থার এক কর্তার বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য ও মানহানির অভিযোগ করেছেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে পদকজয়ী বক্সার লভলিনা বরগোহাঁই। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থা।
ভারতীয় বক্সিং সংস্থার এগজ়িকিউটিভ ডিরেক্টর তথা অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অরুণ মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন লভলিনা। টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম (টপস)-এর বৈঠক ছিল ৮ জুলাই। খেলরত্ন ও অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত লভলিনার অভিযোগ, জুম মাধ্যমে সেই বৈঠকের সময় তাঁর অসম্মান করেছেন অরুণ। তাতে তিনি খুব যন্ত্রণা পেয়েছেন। সেই কারণেই লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়, স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই)-এর ডিরেক্টর জেনারেস হরি রঞ্জন রাও ও ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার কাছে দু’পাতার অভিযোগ জমা দিয়েছেন লভলিনা। অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থা। সেই কমিটিতে রয়েছেন টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম (টপস)-এর সিইও নাছাতার সিংহ জোহাল, প্রাক্তন টেবল টেনিস খেলোয়াড় তথা অলিম্পিক্স সংস্থার অ্যাথলেটিকস কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান শরথ কমল এবং এক মহিলা আইনজীবী। তাঁদের তদন্ত করে দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে, জুম মাধ্যমে বৈঠকের সময় লভলিনা অনুরোধ করেছিলেন, পাতিয়ালায় জাতীয় শিবির চলাকালীন ভারতের মহিলা বক্সিং দলের দীর্ঘ দিনের কোচ প্রণামিকা বোরোকে তাঁর ব্যক্তিগত কোচ করা হোক। পাশাপাশি ইউরোপে অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও অনুরোধও করেছিলেন তিনি। সেই অনুরোধ শোনেননি অরুণ। সেই সময়ই লভলিনাকে তিনি অসম্মানজনক কথা বলেছিলেন বলে অভিযোগ অসমের বক্সারের।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অরুণ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “লভলিনা গোটা দেশের গর্ব। ওর কৃতিত্বে গোটা বক্সিং সংস্থা গর্বিত। আমি ওকে কিছু বলিনি। ওই বৈঠকে টপস ও সাইয়ের অনেক আধিকারিক ছিলেন। পুরো বৈঠক রেকর্ড করা হয়েছে। সেই রেকর্ডিং খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লভলিনার অভিযোগের তদন্ত অবশ্যই হওয়া দরকার। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হবে না।”