হোলকার স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরু রঞ্জি ফাইনালে আকর্ষণের কেন্দ্রে দু’দলের দুই ‘প’। গুজরাতের পার্থিব পটেল। মুম্বইয়ের পৃথ্বী সাউ।
গুজরাত অধিনায়ক আট বছর পরে টেস্ট দলে ফিরে নজির গড়ার মরসুমেই ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা ট্রফি জয়ের চূড়ান্ত রাউন্ডে পা রেখেছেন। ৬৬ বছর পরে গুজরাত রঞ্জি ফাইনালে।
মুম্বইয়ের টিনএজার ওপেনারের সেমিফাইনালে স্বপ্নের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট অভিষেক ঘটার পরেই প্রথম রঞ্জি মরসুমে একেবারে ফাইনাল। রঞ্জি অভিষেকে পৃথ্বীর স্মরণীয় সেঞ্চুরি মুম্বইয়ের বাঙালি ওপেনারকে ঘিরে ফাইনালেও বিরাট প্রত্যাশা তৈরি করেছে ক্রিকেটমহলে।
মুম্বই অধিনায়ক আদিত্য তারে সেই প্রত্যাশাকে আরও উস্কে দিয়ে এ দিন বলেছেন, ‘‘মুম্বইয়ের হয়ে তুমি খেলছ মানেই তোমার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার থেকে কম কোনও টার্গেট থাকতে পারে না। পৃথ্বীরও তাই। সেমিফাইনালে ও যখন সুযোগ পেল, টিম মিটিংয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঠিক এই কথাই বলেছিল। এটাই হল মুম্বই ক্রিকেট মানসিকতা।’’ এর পর তারে যোগ করেন, ‘‘সত্যি বলতে পৃথ্বীর ব্যাটিং আমি রঞ্জি সেমিফাইনালের আগে দু’বছর দেখিনি। ও যখন বালক, সেই সময় শেষ দেখেছিলাম। ও রঞ্জি টিমে সুযোগ পাওয়ায় বলতে গেলে খানিকটা অবাকই হয়েছিলাম। কিন্তু সেমিফাইনালে ওর সেঞ্চুরিটা দেখার পর আর কোনও কিছুই মনে হয় না ওর পক্ষে করা অসম্ভব।’’ সঙ্গে মুম্বই অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘‘রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে বুঝব মরসুমটা আমাদের ব্যর্থ গেল।’’
পার্থিবের আবার মন্তব্য, ‘‘রঞ্জি ফাইনাল খেলছি বা মুম্বইয়ে বিরুদ্ধে খেলছি এ সব ভেবে সামনের পাঁচ দিন মাঠে নামব না আমরা। তা হলেই চাপ বাড়বে। মুম্বই ৪৫ বার রঞ্জি ফাইনাল খেলে মাত্র চার বার হেরেছে। তাই এটাকে আর একটা ম্যাচ ভেবে খেলব।’’ গুজরাত ওপেনার প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল (১২৭০) ভিভিএস লক্ষ্মণের (১৪১৫) রঞ্জির ইতিহাসে এক মরসুমে সর্বাধিক রানের কীর্তির থেকে মাত্র ১৪৫ রান দূরে। প্রিয়ঙ্ক যেমন পার্থিবের আশা, তেমনই আশঙ্কা জসপ্রীত বুমরাহের ফাইনালে অনুপস্থিতি। সেমিফাইনালে ঝাড়খণ্ডের থেকে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ১২৩ রানে গুজরাতের সরাসরি জয় সম্ভব হয়েছিল বুমরাহের প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সেরা বোলিং পারফরম্যান্সের (৬-২৯) দাপটেই। ‘‘কিন্তু বুমরাহ ভারতীয় দলে খেলার যোগ্য। সুতরাং ও যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ খেলার জন্য রঞ্জি ফাইনালে নেই সেটা গুজরাত অধিনায়ক হিসেবে আমার কাছে গৌরবের,’’ বলেছেন পার্থিব। সঙ্গে তিনি এ-ও বলে দিয়েছেন, ‘‘বুমরাহের বদলে যে খেলবে সে-ও নিজেকে উজাড় করে দেবে আমি নিশ্চিত। কারণ এমন সুযোগ এ দেশের ক’জন ক্রিকেটার আর পায়?’’