Advertisement
E-Paper

কাটল অর্থসঙ্কট, লাল-হলুদ ক্লাব এখন 'কোয়েস ইস্টবেঙ্গল'

ইউবি গ্রুপ অতীত। ইস্টবেঙ্গল গাঁটছড়া বাঁধল কোয়েসের সঙ্গে। অধিকাংশ শেয়ার নিয়ে কার্যত ক্লাবের মালিক তারাই। এবার কি আইএসএলে দেখা যাবে লাল-হলুদ দলকে?

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ২০:১৭
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে জুড়ল কোায়েসের নাম। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে জুড়ল কোায়েসের নাম। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

নিছক নতুন স্পনসর নয়, আদতে কর্পোরেট ধাঁচের বিনিযোগকারী পেল ইস্টবেঙ্গল। যার ফলে পালটে যাচ্ছে নাম। লাল-হলুদ ক্লাবের নতুন নাম হল কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি প্রাইভেট লিমিটেড। সংক্ষেপে, কোয়েস ইস্টবেঙ্গল। যা কিছুদিন আগেও ছিল কিংফিশার ইস্টবেঙ্গল।

এই কোয়েস কর্পোরেশন হল বেঙ্গালুরুর এক কোম্পানি। তাঁদের হাতেই কার্যত গেল মালিকানা। আট সদস্যের ‘বোর্ড অফ ডিরেক্টরস’ গড়া হয়েছে দুই পক্ষকে নিয়ে। তাতে কোয়েসের চারজন প্রতিনিধি থাকবে। বাকি চার প্রতিনিধি অবশ্য ক্লাবের। তবে শেয়ারের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ মালিকানাই চলে গেল কোয়েসের হাতে। শহরের এক হোটেলে বৃহস্পতিবার প্রচারমাধ্যমের সামনে এই ঘোষণাই করা হল।

ফুটবলসংক্রান্ত ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অবশ্য ক্লাবকর্তারা ছাড়েননি। যতই মালিকানার সিংহভাগ কোয়েসের থাক, তেমন বোঝাপড়াই হয়েছে বলে দাবি।

এই চুক্তি কাটিয়ে দিল লাল-হলুদের আর্থিক সমস্যা। ঠিক হয়েছে, দলগঠনের জন্য অর্থের জোগানের পুরোটাই দেবে কোয়েস। ইউবি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের পর দলগঠন নিয়ে সমস্যায় ছিল ইস্টবেঙ্গল। কোয়েস আসায় সঙ্কট কাটল। বিদেশি ফুটবলারদের নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কোয়েসের প্রাথমিক কাজ হবে ভালো বিদেশি ফুটবলার আনা। কারণ, বিদেশিদের নিয়ে প্রত্যেক মরসুমেই ভুগতে হয় দলকে।

নতুন জার্সি গায়ে ফুটবলাররা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

প্রশ্ন হল, কত টাকা দেবে কোয়েস? ক্লাব কর্তাদের দাবি, আইএসএলে খেললে টাকার অঙ্ক বাড়বে। এমনকী, তা ১০০ কোটি পর্যন্ত হতে পারে বলে দাবি করেছেন ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। অতটা যদি নাও হয়, আইএসএলে লড়ার মতো দল গড়তে ৪৫ কোটি টাকার মতো লাগবে বলে মনে করছেন কর্তারা। কোয়েসকে তা দিতে হবে সেক্ষেত্রে। আবার যদি আই লিগে খেলতে হয়, তখন ১০-১২ কোটিতেই কাজ চলবে। আইএসএলে খেলার আগ্রহ অবশ্য কর্তাদের মধ্যে যথেষ্টই রয়েছে। সেজন্যই তোলা হবে আইএসএলে খেলার দরপত্র। এক্ষেত্রে কোয়েসের আগ্রহও বড় ভূমিকা নেবে।

কত বছরের জন্য এই চুক্তি, তা অবশ্য পরিষ্কার করা হয়নি। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা লম্বা জুটিই চাইছেন কোয়েসের সঙ্গে। শোনা যাচ্ছে, প্রায় দশ বছরের জন্য হয়েছে এই চুক্তি। শুধু ফুটবলারদের জন্যই টাকা ঢালবে না কোয়েস। লক্ষ্য রাখবে যুব ফুটবলার তুলে আনার পরিকাঠামোর দিকেও। ক্লাবেও আনা হবে নানা বদল।

আরও পড়ুন: চার ম্যাচে ১৪ মিনিট গড়াগড়ি খেয়েছেন নেমার, জানেন?

আরও পড়ুন: পিকফোর্ডকে বোতলে দেওয়া বার্তাই কি জেতাল ইংল্যান্ডকে?

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন এআইএফএফের সচিব কুশল দাস। ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত, আইএফএ সচিব উত্পল গঙ্গোপাধ্যায়। টিডি সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র দলের ফুটবলাররাও। প্রকাশিত প্রেস রিলিজে ক্লাবের সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেছেন, “কোয়েসের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরে খুশি। আমরা দেশের সেরা ফুটবল ক্লাব হয়ে উঠতে চাইছি।”

ইস্টবেঙ্গল যখন নব উদ্যমে জেগে উঠেছে, তখন মোহনবাগানের অবস্থা আগের মতোই। বিভেদ-বিভাজন রয়েছে। রয়েছে আর্থিক সঙ্কট। তার মধ্যেই চলছে চেষ্টা। সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “সমস্যা তো আছেই। দেখা যাক। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।”

Football East Bengal Club
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy