ইরানি কাপ জেতার পরে বিদর্ভের ক্রিকেটারেরা। ছবি: টুইটার
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে তাঁর হ্যাটট্রিকের সুবাদেই প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিদর্ভ। সেই টুর্নামেন্টেই ছ’ম্যাচে ৩৯টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। তবুও আইপিএলের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির নজর কাড়তে পারেননি। এ বার ইরানি কাপেও অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে ৭০ রান দিয়ে তাঁর ঝুলিতে চারটি উইকেট। তিনি— রজনীশ গুরবাণী।
নাগপুরে অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে ইরানি কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিদর্ভ। মরসুমের দ্বিতীয় ট্রফি জেতার পরে আনন্দবাজার-কে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতীয় ক্রিকেটারই চায় আইপিএল খেলতে। এ বারের পারফরম্যান্সের পরে আরও বেশি করে সেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। তবে সুযোগ না পেয়ে সত্যিই ভেঙে পড়েছিলাম।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘আমার হাতে তো আর এটা নেই। পরের বার চেষ্টা করব আরও পরিণত বোলিং করার।’’
ঠিক কী ভাবে নিজেকে তৈরি করবেন? জানতে চাইলে গুরবাণীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে ‘ম্যাচ উইনার’ হয়ে উঠতে গেলে বোলিংয়ে আরও বৈচিত্র আনতে হবে। দু’দিকে সুইং আমি করাতে পারি। পাশাপাশি ‘নাক্ল বল’ ও ‘লেগ কাটার’ করতে জানতে হবে।’’
বিদর্ভের ২৪ বছর বয়সি পেসার মনে করেন, ভারতীয় দলের বেশির ভাগ বোলারই ব্যাট করতে পারেন। তাঁকেও সে বিষয়ে উন্নতি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও উন্নতি করার চেষ্টা করছি। পরের বার আইপিএলের নিলামে যেন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নজরে পড়তে পারি সেই চেষ্টাই করছি।’’
ইরানি কাপে প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট হারিয়ে ৮০০ রানে বিপক্ষকে ডিক্লেয়ার দিয়েছে বিদর্ভ। ওয়াসিম জাফর-এর দ্বিশতরানের (২৮৬) পরেও সেঞ্চুরি করেছেন গণেশ সতীশ (১২৭) ও অপূর্ব ওয়াংখেড়ে (১৫৭ ন.আ.)। তাঁদের দাপটেই ধরাশায়ী আর. অশ্বিন-দের বোলিং। পরবর্তী ইনিংসে গুরবাণী ও আদিত্য সরওয়াটে মিলে নিয়েছেন সাত উইকেট। যা ৩৯০ রানেই শেষ করে দিয়েছে অবশিষ্ট ভারতকে। প্রথম বার রঞ্জি ট্রফি ও ইরানি কাপ জেতার পরে ভারতীয় ক্রিকেটে আরও এক ইতিহাসের সাক্ষী গুরবাণী বলেন, ‘‘বিদর্ভ ক্রিকেটের জন্য এ মরসুম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পরের বার থেকে প্রত্যেকটি দল আমাদের সমীহ করে খেলবে। আগে মুম্বই, বাংলার মতো দলগুলো আমাদের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার স্বপ্ন দেখত। এ বার থেকে আমাদের বিরুদ্ধে নামার আগে ওরাই চাপে থাকবে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি যে, বড় ম্যাচের চাপটা আমরা বেশ ভাল ভাবেই সামলাতে শিখে গিয়েছি।’’
ভারতীয় পেস বিভাগই দক্ষিণ আফ্রিকায় সাফল্যের অন্যতম কারণ। পাশাপাশি নিদাহাস ট্রফিতে রিজার্ভ বেঞ্চের সাফল্য নজর কেড়েছে প্রত্যেকের। তার মধ্যেই এই উদীয়মান পেস তারকা নিজের জায়গা করে নিতে পারেন কি না সেটাই এখন দেখার।