দু’দিন দূষিত দিল্লিতে আটকে থাকার পর রাজধানীর বাইরে বেরিয়েও শান্তি নেই বাংলার রঞ্জি ক্রিকেটারদের। বুধবার প্রায় দশ ঘণ্টার সফর করে তাঁদের রাজকোট পৌঁছতে হল রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী ম্যাচ খেলার জন্য। রঞ্জির শুরুটা ভাল করলে কী হবে, তিন দিন ধরে বাংলার ক্রিকেটারদের উপর যে শারীরিক ও মানসিক ধকল গেল, তাতে তাঁদের পরের ম্যাচে তাজা হয়ে নামাটাই কঠিন।
ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টের শহরে শনিবার থেকে বাংলার পরবর্তী রঞ্জি ম্যাচ তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে। রবিবার দিল্লির দূষিত পরিবেশে খেলা বাতিল হওয়ার পর দু’দিন ধরে হোটেলবন্দিই থাকতে হয় মনোজ তিওয়ারি, প্রজ্ঞান ওঝা, অশোক দিন্দাদের। বুধবার সকালের বিমান ধরতে ভোরে দিল্লির হোটেল ছেড়ে রওনা দেন তাঁরা। সকালের বিমানে মুম্বই পৌঁছে সেখানে প্রায় চার ঘণ্টা বসে থাকতে হয় রাজকোট যাওয়ার বিমান ধরার জন্য। সারা দিনের সফর শেষ করে বাংলার ক্রিকেটাররা শেষ পর্যন্ত রাজকোটে টিম হোটেলে ঢোকেন সন্ধ্যায়। রাতের দিকে এক ক্রিকেটারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এতটাই ক্লান্ত আমরা যে, কেউ কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।’’ দলের ম্যানেজার সমীর দাসগুপ্ত বলেন, ‘‘ছেলেরা সবাই এত ক্লান্ত যে সকলেই প্রায় ঘুমোচ্ছে। ওরা যে ঠিক সময়ে ডিনার করতে আসবে রেস্তোরাঁয়, সেই ইচ্ছেও ওদের নেই।’’
এখানেই শেষ নয়। টেস্টের শহরের ক্রিকেট কর্তারা এতটাই ব্যস্ত যে, বৃহস্পতিবার বাংলার জন্য কোনও প্র্যাকটিসের ব্যবস্থাও রাখার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত বাংলা দলের কর্তা ও সাপোর্ট স্টাফই উদ্যোগ নিয়ে প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করেন। জানা গেল পাঁচ দিন ধরে মাঠে নামতে না পারা বাংলার ছেলেরা ক্রিকেটে ফেরার জন্য ছটফট করছেন। কারণ, দিল্লিতে হোটেলবন্দি অবস্থায় তাঁরা জিম আর সাঁতার ছাড়া কিছুই করতে পারেননি। তবে কোন মাঠে প্র্যাকটিস করবেন, কোথায় ম্যাচ, যেখানে প্র্যাকটিস সেখানেই ম্যাচ হবে কি না, সেই খবরও বাংলা শিবিরে নেই বলে জানা গেল।
নয়াদিল্লি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও সেখানকার ধোঁয়াশা যে বাংলা শিবিরে রয়েই গিয়েছে, এ সব ঘটনায় সেটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy