সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা তো বটেই। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে কোনও কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটারও মনে করছেন, বলেও ফেলেছেন যে, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এই ফর্ম চললে ঘরের মাঠে চলতি আন্তর্জাতিক মরসুমের বাকি দশ টেস্টে ভারতীয় অফ স্পিনার তিনশো উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারেন!
অশ্বিনের এখন ৩৯ টেস্টে ২২০ উইকেট। এই সংখ্যক টেস্টে অশ্বিনই সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক। কিন্তু স্বয়ং অশ্বিন মোটেই চাইছেন না যে, সামনের ১০ টেস্টে ৮০ উইকেট নেওয়ার চাপ ঘাড়ে নিয়ে বল করতে। তিনশো টেস্ট উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়ার ভাবনা মাথায় নিয়ে বল করতে চান না তামিলনাড়ু স্পিনার।
চেন্নাইতে সোমবার এক বিপণনী সংস্থার প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে অশ্বিন বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমি কোনও নম্বর বা টার্গেটের দিকে তাকাচ্ছিই না। যে জায়গাটায় আমি আছি, সেটাই স্রেফ উপভোগ করছি। আসলে আপনি যখন কোনও কাজ সত্যিই ভাল করছেন, তখন ভুলেও চিন্তা করবেন না যে, কতটা ভাল সেটা করছেন। তা হলেই সেই কাজটা করার আনন্দ আপনি হারিয়ে বসতে পারেন। সে জন্য আমি সত্যিই খুব একটা সামনের দিকে তাকাচ্ছি না।’’
অশ্বিন সরাসরি স্বীকার করছেন যে, তাঁর ক্রিকেটজীবনের এখন সত্যিই একটা দুর্দান্ত অধ্যায় চলেছে। বলেছেন, ‘‘বছরখানেক বা তার একটু বেশি সময় ধরে আমি বলে আসছি যে, ভাল বোলিং করছি। আমার বোলিংয়ের গোটা ব্যাপারটাই খুব সহজে ঘটছে। রান আপের মাথায় পৌঁছনো থেকে বলটা হাত থেকে বেরোনো পর্যন্ত— সবটাই। আমার বোলিং ছন্দ থেকে শুরু করে বোলিং অ্যাকশন সব ঠিকঠাক হচ্ছে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘নম্বর, টার্গেটের কথা চিন্তা না করলেও অবশ্যই আমি নিজের বোলিং নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তাভাবনা করি। নিজের ঠিক, ভুল— দু’টো থেকেই শেখার চেষ্টা করি। কিন্তু যেটা আমি বুঝেছি, আপনি যে কাজটা করেন সেটার ছন্দই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কখনওসখনও ছন্দ পেতে সমস্যা হয়। আর তখনই নিজের কাজে সফল হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তবে গোটা নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমি যত বেশি বল করেছি, ততই ছন্দ পেয়েছি।’’
উপমহাদেশের উইকেটে বিশ্ব ক্রিকেটের তিন বিরাট ব্যাটসম্যান সঙ্গকারা, এবি ডে’ভিলিয়ার্স আর কেন উইলিয়ামসন বলতে গেলে অশ্বিনের খাদ্য প্রমাণিত হয়েছেন। সেই প্রশ্ন উঠলে স্বয়ং সেই তিনের ঘাতক বলে দেন, ‘‘সত্যি বলতে কী, আমি বিরাট ভাগ্যবান যে, আমার শিকারের তালিকায় এই তিন অসাধারণ ব্যাটসম্যানের নাম বারবার উঠেছে। ওদের অনেক বার করে আউট করতে পারাটা আমাকে দারুণ তৃপ্তি দিয়েছে। সামনের কয়েক মাসে আমি অনেক ভাল ভাল ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বল করার সুযোগ পাব। ব্যাপারটা আমার কাছে ইন্টারেস্টিং। আশা করছি, নিজের কাজটা ফের ভাল ভাবে শুরু করতে পারব।’’
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের টেস্ট সিরিজ প্রসঙ্গে তিরিশ বছর বয়সি ভারতের ম্যাচ জেতানো বোলার বলেছেন, ‘‘ওরা (ইংল্যান্ড) খুব ভাল দল। ওদের টপকানো সহজ হবে না। ইংল্যান্ড নিয়ে আমার হোমওয়ার্ক চলবে। যাতে আমি লেংথ-লাইনে সঠিক থাকতে পারি, ঠিক মতো ছন্দ পাই, সেগুলো সব নিশ্চিত করতে হবে আমাকে। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি ওয়ান ডে সিরিজে আমার বিশ্রামটা খুব দরকার ছিল। ইংল্যান্ড সিরিজে তাজা অবস্থায় নামার জন্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy