চোট থেকে ফিরেই আবার স্বমহিমায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সে কটাক্ষের শিকার হতে হলেও, ক্লাবের জার্সিতে এ যেন এক নতুন রোনাল্ডো। যাঁর জোড়া গোলের সৌজন্যে সেভিয়াকে ২-০ হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধের মাঝমাঝি গ্যারেথ বেলের পাসে ট্রেডমার্ক জায়গা থেকে গোল করেন রোনাল্ডো। বিরতির পরে আবার জোড়াল শটে পরাস্ত করেন তাঁর আন্তর্জাতিক দলের সতীর্থ বেটোকে। তাঁর চোট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে থাকলেও, এ দিন আবার প্রমাণ করলেন কেন বিশ্বসেরা ফুটবলারের সিংহাসন তাঁর দখলে।
এই দিনই। ঠিক এগারো বছর আগে। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এক তরুণ ফুটবলারকে সই করিয়েছিল ১২.৪ মিলিয়ন পাউন্ডে। এক দশকে তাঁর বিশ্বের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠার রহস্য ভেদ করতে তাবড় বিশেষজ্ঞ কম গবেষণা চালাননি। এখনও চলছে। রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক-মরসুম প্র্যাকটিসে হয়তো কিছুটা হলেও নিজের তুমুল সাফল্যের হদিশ দিলেন তিনি--- ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সেই ফিটনেস। তবে তাতে কিছুটা নতুনত্ব আমদানি করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ মহাতারকা।
গোটা বিশ্বকাপ যাঁকে হাঁটুর চোটের ছায়ায় কাটাতে হয়েছে। ফিটনেস নিয়ে শুনতে হয়েছে বিদ্রুপ। সেই ফিটনেসকে অস্ত্র করেই তিনি মাঠে ফেরার যুদ্ধ জিততে প্রস্তুত হচ্ছেন। যার কিছুটা আভাস পাওয়া গেল কার্ডিফে। সুপার কাপে সেভিয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে প্র্যাকটিসে। রোনাল্ডো দেখালেন কেন তাঁর ফিটনেস বিশ্বসেরা। সঙ্গে তিনি যে কতটা মরিয়া মাঠে নামতে সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন সিআর সেভেন।