নায়ক: ইডেনে নেমেই স্মৃতিতে ভাসলেন রোহিত শর্মা। নিজস্ব চিত্র
দিনটা ছিল এই ১৩ নভেম্বর। প্রতিপক্ষ ছিল এই শ্রীলঙ্কাই। মাঠ? সেটাও একই। এই ইডেন। তফাতের মধ্যে সে দিনেরটা ছিল ওয়ান ডে। তিন বছর আগে এই দিনটাতেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই অতিমানবীয় ২৬৪ রানের ইনিংসটা খেলেছিলেন রোহিত শর্মা।
তিন বছর বাদে, ১৩ নভেম্বরের বিকেলে ইডেনে দাঁড়িয়ে রোহিত ফিরে গিয়েছিলেন ওই বিশেষ দিনটাতে। সোমবার বিসিসিআই টিভি-তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোহিত বলেছেন, ‘‘সেই বিশেষ দিনটার অনভূতির কথা আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। সে দিন আমি খেলতে নামার আগে খুব নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। আগের রাতে ভাল করে ঘুমই হয়নি। ভাল ঘুম না হলে সব কিছুই একটু বেসামাল হয়ে যায়। আমারও তাই হয়েছিল।’’
ভারত সে দিন আগে ব্যাট করেছিল। এ দিন ইডেনে দাঁড়িয়ে রোহিত বলছিলেন, ‘‘আমার এখনও পরিষ্কার মনে আছে, মাঠে আসার পরে কতটা টেনশনে ছিলাম। টসের অপেক্ষায় ছিলাম। আমাদের প্রথমে ব্যাট করতে হয়। ব্যাট হাতে যখন নামছি, দর্শকরা চিৎকার করে আমাদের উৎসাহ দিচ্ছিল। ওই গর্জন এখনও কানে ভাসছে।’’
ইডেনের সেই ছবি এখনও রীতিমতো টাটকা রোহিতের মনে। সেই দর্শকদের গর্জন, গ্যালারিতে জাতীয় পতাকা, মাঠে সবুজ গালিচা। রোহিত স্বীকার করে নিচ্ছেন, অসাধারণ একটা অনুভূতি। ‘‘ইডেনকে দেখে তখন মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। কিন্তু আমি বেশ নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। তখন মাথার মধ্যে একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছিল। কী ভাবে খেলব। কী ভাবে ইনিংসটা এগোবে।’’ ওয়ান ডে ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস নিয়ে রোহিত বলছিলেন, ‘‘প্রথমে আমি খুব দেখেশুনে খেলছিলাম। ৫০ রান আসে ৭৪ বলে। সেট হতে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে নিই। তার পর ছন্দে চলে আসি।’’
ছন্দ পাওয়ার পরে অবশ্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন রোহিত। হয়ে যায় সেঞ্চুরিও। সেই সময় তাঁর মনের অবস্থা কী হয়েছিল? রোহিতের স্মৃতি রোমন্থন, ‘‘সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়ার পরে বুঝতে পারি, আমি নিজে না আউট হলে আউট হব না। প্ল্যান করেছিলাম, যত ক্ষণ সম্ভব খেলে যাব। ঝুঁকি নিচ্ছিলাম না। ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে শট মারছিলাম। ইডেনের আউটফিল্ড এত ভাল ছিল যে বল দ্রুগতিতে বাউন্ডারিতে চলে যাচ্ছিল।’’
অবশেষে ডাবল সেঞ্চুরি। আড়াইশো। এবং সব শেষে রোহিত থামলেন রেকর্ড ২৬৪ রানে। ‘‘তার পরে হোটেলে ফিরে শান্তিতে ঘুমোতে পেরেছিলাম,’’ স্বীকার করেছেন রোহিত। যে মাঠে তাঁর এই অবিস্মরণীয় ইনিংস, সেই মাঠকে কি ভুলে যাওয়া সম্ভব? সম্ভব নয়। রোহিতও ভোলেননি। তাই বলছেন, ‘‘এই ঐতিহাসিক মাঠ, এই অবিস্মরণীয় ইডেন সব সময় আমার হৃদয়ের খুব কছে থাকবে। কোনও দিন ইডেনকে ভুলব না আমি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy