টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার তিন বছর পূর্তির দিনে তাঁকে পাওয়া গেল গ্রামে। তাঁর দত্তক নেওয়া গ্রামে। অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোর জেলায়। সেই পুত্তামরাজু কান্দ্রিকা গ্রামে গিয়ে তিনি তখন বাচ্চাদের ব্যাট, ফুটবল উপহার দিচ্ছেন। উৎসাহ দিচ্ছেন খেলাধুলোয়। মঙ্গলবারই তাঁর টেস্ট অভিষেকের ২৭ বছরে ক্রিকেট বিশ্ব আবেগে ভেসেছিল। ঠিক তার পরের দিন তিনি ভাসলেন গ্রামের কচি-কাঁচাদের সঙ্গে অনাবিল আনন্দে। তিনি— সচিন তেন্ডুলকর।
বুধবার গ্রামের বাচ্চাদের উপহার দিয়ে সচিন বলেছেন, ‘‘ভারতকে পরিষ্কার (স্বচ্ছ) রাখার মতোই জরুরি গোটা দেশকে সুস্থ রাখা। বাচ্চাদের খেলাধুলো করার কিছু সরঞ্জাম দিয়ে গেলাম। যাতে ওরা সুস্থ থাকতে পারে।’’
সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনায় অন্ধ্রের এই গ্রামে দু’বছর আগে এই দিনেই দত্তক নিয়েছিলেন সচিন। ইতিমধ্যেই রাস্তা, স্কুল নির্মাণ এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক করতে সচিন তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ২ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তার পর এ দিনই গ্রামে দ্বিতীয় বার এসেছিলেন তিনি।
সেখানেই গ্রামের বাচ্চাদের সচিন বলেন, ‘‘খেলাধুলা যেমন করতেই হবে, তেমনই পড়াশোনাকেও অবহেলা করা চলবে না কোনওমতেই। দু’টোই সমান তালে চালাতে হবে।’’
গ্রামের বাচ্চাদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও পরামর্শ ছিল সচিনের। যেখানে তিনি বলেন, ‘‘সন্ধেবেলা কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পর ধূমপান বা মদ্যপানে নিজেকে ডুবিয়ে দেওয়ার চেয়ে পরিবার এবং বাচ্চাদের সময় দিন। ওদের সঙ্গে সময় কাটানোর এই সুযোগ নষ্ট করবেন না। এতে পরিবার স্বচ্ছ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে এগোতে পারবে।’’
এ দিন গামের মানুষদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে দেদার সেলফি, অটোগ্রাফের আব্দারও মেটান মাস্টার-ব্লাস্টার। ফিরে যাওয়ার আগে জেলাশাসক এবং স্থানীয় বিধায়ককে শুভেচ্ছা জানিয়ে গ্রামবাসীদের সচিন বলে যান, ‘‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে স্বচ্ছ ও সুস্থ থাকুন সবাই।’’
দত্তক নেওয়া গ্রামে সচিন তেন্ডুলকর।