নতুন মরসুমের জন্য টিম তৈরির কাজ শুরু করে দিলেন সঞ্জয় সেন। বেলো রজ্জাকের বদলি ডিফেন্ডারও খুঁজতে শুরু করে দিলেন তিনি।
আরও এক বছরের জন্য মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের পর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন কোচ সোমবার বলে দিলেন, ‘‘কলকাতা লিগে আমি তিন জন বিদেশি নিয়ে খেলব ঠিক করেছি। সনি নর্ডি আর কাতসুমি থাকছে। বেলোর পরিবর্ত হিসাবে একজন বিদেশি ডিফেন্ডার খুঁজছি। চারটে সিডি এসেছে আমার কাছে। সেগুলো ভাল করে দেখতে হবে। সিডির সঙ্গে ওদের খেলার অনেক ফারাক থাকে। মরসুমের প্রাক প্রস্তুতি শুরুর আগেই ডিফেন্ডার বাছব বলে ঠিক করেছি। বোয়ার বদলি হিসাবে একজন পজিটিভ স্ট্রাইকার নেব। তবে সেটা আই লিগের আগে। এখন নয়।’’
বাগান কোচ না জানালেও ক্লাব সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুর জন জনসন, শিলং লাজংয়ের মিনচেল শন, ইস্টবেঙ্গলের খেলে যাওয়া মাইক ওপারার নাম নিয়ে প্রাথমিক ভাবে আলোচনা হয়েছে এ দিন। ওপারাকে নিলে ট্রায়াল নেওয়া হবে। দেখা হবে তিনি কতটা সুস্থ। এর বাইরে কাউকে নিলেও তাঁকে ট্রায়ালে ডাকা হবে। বাগান কোচ বললেন, ‘‘যাঁকেই নেব আমি দেখে নেব।’’ তবে পরিচিত স্টপার পাওয়া গেলে তাঁকে সরাসরিই সই করানো হবে।
আই লিগ চ্যাম্পিয়ন টিমের কাদের পরের মরসুমে রাখতে চান সেই তালিকা বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেই কর্তাদের কাছে জমা দিয়েছিলেন সঞ্জয়। সেই তালিকার সব ফুটবলারকেই রেখে দেওয়া হচ্ছে। শুধু কাপ-ফাইনালের গোলদাতা বেলো চলে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলে। এ দিন দুপুরে অর্থসচিব দেবাশিস দত্তের সঙ্গে আলোচনায় বসে টিম সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি জেনে যান সনিদের কোচ। ‘‘আমার দেওয়া তালিকার সব ফুটবলারকেই রাখা হচ্ছে। বেলোকেও আমি তালিকায় রেখেছিলাম। এখন যা দেখলাম বা শুনলাম তাতে বেলো আমার এবং ক্লাবের সঙ্গে সত্যিই দ্বিচারিতা করেছে। আমি ওঁকে মোহনবাগানে এনেছিলাম। অথচ শুক্রবার থেকে আমার ফোনও ধরেনি। আমাদের না জানিয়েই অন্য জায়গায় সই করেছে। যেটা অন্যায়। আমি অনেক কিছুই জানতাম না’’
অর্থসচিব ছাড়াও এ দিন কোচের সঙ্গে আলোচনায় বলেছিলেন ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, টেকনিক্যাল কমিটির দুই সদস্য শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় ও কম্পটন দত্ত। সেখানে ঠিক হয়, কলকাতা লিগকে পরীক্ষাগার হিসাবে ব্যবহার করা হবে। জোর দেওয়া হবে আই লিগ ও এএফসি কাপে। ‘‘কলকাতা লিগ কবে শুরু হবে তা জানার পর অনুশীলন শুরু করব। পাঁচ বা ছয় সপ্তাহ প্রি-সিজন প্রস্তুতির জন্য লাগবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে ফের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া এবং এএফসি কাপে যতটা সম্ভব ওপরে ওঠা যায় তার চেষ্টা করা,’’ বলে দেন ফের আরও এক মরসুম থেকে যাওয়া বাগান কোচ। যেহেতু কলকাতা লিগে আই এস এলের ফুটবলারদের পাওয়া যাচ্ছে না সে জন্য কলকাতার মাঠে খেলা দু’জন ভাল স্ট্রাইকারকে নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। কারণ সাবিথ ছাড়া মূল টিমের আর কাউকে পাওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গলের ছেড়ে দেওয়া স্টপার রাজু গায়কোয়াড়কে নিতে পারে বাগান।
মোট তিরিশজন ফুটবলার নেওয়া হবে এ বার। তার মধ্যে একুশ জন পুরনো টিমের। সঞ্জয় বলছিলেন, ‘‘আমি যে শর্তগুলো দিয়েছিলাম তার সবই প্রায় মেনে নিয়েছেন কর্তারা।’’ কলকাতা লিগের আগে ডিফেন্ডার বেছে নিলেও স্ট্রাইকারের জন্য আই এস এলের ম্যাচগুলো দেখতে চান বাগান কোচ। বলে দিলেন, ‘‘অনেক বিদেশি স্ট্রাইকার খেলতে আসবে। তাদের মধ্যে কেউ ভাল খেললে কথা বলব। হাতে অনেক সময় আছে।’’
কর্নেল ভারতে: শোনা যাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল তাঁকে পরের মরসুমে দলে নিতে পারে। একপ্রস্থ কথাও হয়েছিল। কিন্তু শিলং লাজংয়ের কর্নেল গ্লেন শেষ পর্যন্ত সই করলেন ভারত এফ সি-তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy