Advertisement
E-Paper

কোহালির বাদ না পড়ার রহস্য ফাঁস করলেন সহবাগ

কেরিয়ারের একটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আর বীরেন্দ্র সহবাগ পাশে না দাঁড়ালে ভারতীয় দল থেকে বাদই পড়ে যেতেন বিরাট কোহালি। ভারতের টেস্ট অধিনায়ক সম্পর্কে এই অজানা তথ্য ফাঁস করেছেন বীরেন্দ্র সহবাগ স্বয়ং।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:০২

কেরিয়ারের একটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আর বীরেন্দ্র সহবাগ পাশে না দাঁড়ালে ভারতীয় দল থেকে বাদই পড়ে যেতেন বিরাট কোহালি।

ভারতের টেস্ট অধিনায়ক সম্পর্কে এই অজানা তথ্য ফাঁস করেছেন বীরেন্দ্র সহবাগ স্বয়ং। মোহালি টেস্টে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় কথা প্রসঙ্গে প্রাক্তন ভারতীয় তারকা বলেন, ‘‘২০১২ সালে আমাদের অস্ট্রেলিয়া সফরে পারথ টেস্টের আগে নির্বাচকেরা বিরাটকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে দলে নিতে চেয়েছিলেন। সেই সময় ধোনি ক্যাপ্টেন। আমি ছিলাম ভাইস ক্যাপ্টেন। দু’জনে আলোচনা করে ঠিক করি, আমাদের বিরাটের পাশে দাঁড়াতেই হবে। বিরাটকে দলে রাখার জন্য লড়েছিলাম আমরা। শেষ পর্যন্ত আমাদের কথাই মেনে নেওয়া হয়। বাকিটা ইতিহাস।’’

ধোনি ও সহবাগ জোর দেওয়ায় সেই সময় বিরাটকে আরও অন্তত একটা টেস্ট খেলাতে রাজি হয়েছিলেন নির্বাচকেরা। বিরাটও নিজেকে প্রমাণ করার সেই একটা সুযোগই কাজে লাগিয়েছিলেন। পারথের দু’ইনিংসে কোহালির ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৪ এবং ৭৫। যার ঠিক পরের ম্যাচেই অ্যাডিলেডের পিচে আসে তাঁর চোদ্দো টেস্ট সেঞ্চুরির প্রথমটা।

২০১২ অস্ট্রেলিয়া সফরে ধোনি ছিলেন ভারত অধিনায়ক। সহ-অধিনায়ক ছিলেন সহবাগ। যাঁর কথা অনুযায়ী, অভিষেকের পরের কয়েকটা টেস্টে পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব বিরাটকে পৌঁছে দিয়েছিল নির্বাচন কমিটির বাতিল তালিকায়। কিন্তু ব্যাট হাতে বিরাটের প্রতিভা এবং সম্ভাবনা নিয়ে ধোনি এবং তাঁর নিজের মনে কখনও কোনও প্রশ্ন ছিল না। ‘‘সেই কারণেই আমরা ওর পাশে দাঁড়াই। ধোনি আর আমি যে ভুল করিনি, সেটা পরবর্তীকালে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে,’’ বলেছেন সহবাগ।

এই মুহূর্তে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যানদের অন্যতম, বিরাট কোহালির টেস্ট অভিষেক ঘটে বাইশ বছর বয়সে। ২০১১-য় ভারতীয় দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের কিংস্টন টেস্টে। ইতিমধ্যেই সর্বকালের সেরাদের অন্যতম হিসাবে নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেছেন যে মহাতারকা, টেস্ট ক্রিকেটের আঙ্গিনায় তাঁর পদার্পণটা কিন্তু মোটেই মসৃণ ছিল না। কিংস্টন-সহ জীবনের প্রথম ছয় টেস্টের বারো ইনিংস মেলালে বিরাটের ভাঁড়ারে বলার মতো স্কোর ছিল মাত্র দু’টো। একটা ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সুযোগ পাননি। বাকি এগারো ইনিংসে স্কোরগুলো ছিল যথাক্রমে এই রকম: ৪, ১৫, ০, ২৭, ৩০, ৫২, ৬৩, ১১, ০, ২৩ এবং ৯।

পারথে দল থেকে বাদ পড়ার জায়গায় পৌঁছে গিয়েও ফিরতে পারাটা মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বিরাট কোহালির কেরিয়ারের।

অ্যাডিলেডের পর থেকে বিরাটের গ্রাফ ক্রমশ উর্ধ্বমূখী হতে হতে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের প্রধান স্তম্ভ। আর ঠিক দু’বছর পর আর এক অস্ট্রেলিয়া সফরেই অবসর ঘোষণা করা ধোনির হাত থেকে ভারতের টেস্ট অধিনায়কের ব্যাটন চলে আসে বিরাটের হাতে।

গত সপ্তাহে খেলে ফেললেন নিজের পঞ্চাশতম টেস্ট। যে ম্যাচে তাঁর নেতৃত্বে ইংল্যান্ডকে দুমড়ে দিয়ে ২৪৬ রানে জেতে বিরাটের টিম। নিজের পঞ্চাশ টেস্টে বিরাটের নামের পাশে এখন চোদ্দোটি সেঞ্চুরি, তেরো হাফসেঞ্চুরি, গড় ৪৮.০৩।

প্রসঙ্গত রোহিত শর্মা টিমে আসেন ২০১৩-য়। তাঁরও অভিষেক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে, ইডেন গার্ডেন্সে।

Virat Kohli Virender Sehwag
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy