অস্ট্রেলীয় ওপেনের প্রথম রাউন্ডে দাপটে শুরু করলেন সেরিনা উইলিয়ামস। ডান কাঁধের চোটে প্রস্তুতি প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ৩৯ বছর বয়সি মার্কিন তারকা। সেই উদ্বেগ দূর করে প্রথম রাউন্ডে সেরিনা ৬-১, ৬-১ উড়িয়ে দিলেন জার্মানির লরা সিগমন্ডকে।
মার্গারেট কোর্টের ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করার সামনে থাকা সেরিনার পোশাকও এ দিন ছিল চর্চায়। ‘ক্যাটস্যুট’ পরে এ দিন নেমেছিলেন ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী। মার্কিন তারকার কথায় এই পোশাকের অনুপ্রেরণা প্রাক্তন অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ জয়নার। ১০০ এবং ২০০ মিটার স্প্রিন্টে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন জয়নার। পাশাপাশি তিনি ‘ফ্যাশন আইকন’ও ছিলেন ১৯৮০-র দশকে। ১৯৯৮ সালে তিনি মারা যান। সেই বছরেই সেরিনা প্রথম বার অস্ট্রেলীয় ওপেনে নামেন। ‘‘আমার প্রেরণা ফ্লো জো। দুরন্ত ট্র্যাক অ্যাথলিট ছিলেন। ওঁর পোশাক আমাকে খুব আকর্ষণ করত। তাই এ বছর এই পোশাকে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,’’ বলেন সেরিনা। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘প্রচুর চাপ ছিল আমার উপরে কোর্টে নামার আগে। কিন্তু ম্যাচটা জিতে উঠে অনেক হাল্কা লাগছে। স্বস্তি অনুভব করছি।’’ ম্যাচের শুরুতে অবশ্য সেরিনা ডাবল ফল্ট করে বসেছিলেন। প্রথম সার্ভিস গেমও হারান। কিন্তু এর পরে টানা ১০টি গেম জিতে প্রতিপক্ষকে ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগই দেননি।
দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন তাঁর দিদি ভিনাসও। ৪০ বছর বয়সি ভিনাস তাঁর ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে নেমে কার্স্টেন ফ্লিপকেন্সকে হারান ৭-৫, ৬-২। এ বছর মেয়েদের ড্র-এ ভিনাসই সবচেয়ে বেশি বয়সের এবং ৪০ বা তার বেশি বয়েসে অস্ট্রেলীয় ওপেনে নামা ষষ্ঠ খেলোয়াড়। উইলিয়ামস বোনেদের সঙ্গেই এগিয়েছেন তিন বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন নেয়োমি ওসাকাও। তিনি ৬-১, ৬-২ হারান আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভাকে। ম্যাচের পরে ওসাকা বলেন, ‘‘এত দিন পরে প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে সবার মতো আমারও শরীরও সে ভাবে কোর্টে নড়াচড়া করতে পারছে না। আশা করছি যত ম্যাচ এগোবে তত ব্যাপারটা আয়ত্তের মধ্যে চলে আসবে।’’