Advertisement
E-Paper

গোপীর মতো কোচ পেলে লক্ষ্মীও হতে পারতেন সিন্ধু

তিনিও সিন্ধু হতে পারতেন, নিজের স্বামীকে যদি কোচ হিসাবে পেতেন। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা জানালেন গোপীচন্দের স্ত্রী পিভিভি লক্ষ্মী। তিনিও এক জন প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। দু’বার ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৬ ১৭:৫৮
গোপীর মতো কোচ পাননি। আক্ষেপ প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন লক্ষ্মীর।

গোপীর মতো কোচ পাননি। আক্ষেপ প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন লক্ষ্মীর।

তিনিও সিন্ধু হতে পারতেন, নিজের স্বামীকে যদি কোচ হিসাবে পেতেন।

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা জানালেন গোপীচন্দের স্ত্রী পিভিভি লক্ষ্মী। তিনিও এক জন প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। দু’বার ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। গিয়েছিলেন ১৯৯৬-এর আটলান্টা অলিম্পিকেও। কিন্তু আজ সিন্ধু কোচ হিসাবে গোপীকে পেয়ে যে ভাবে সাফল্য বয়ে নিয়ে এসেছে, এই সুযোগ যদি তিনি পেতেন তা হলে হয়তো এ দেশের আরও এক পিভি সিন্ধু হতেন। তবে তিনি বা গোপী যা পাননি, সেই সমস্ত সুযোগ পরবর্তী প্রজন্মের খেলোয়াড়দের দিয়ে যেতে চান তাঁরা। আর সে কারণেই অনেক প্রতিবন্ধকতা, অনেক সমালোচনার মুখে পড়েও গোপীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হায়দরাবাদে গড়ে তুলেছেন সর্বাধুনিক মানের ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমি।

লক্ষ্মীর আক্ষেপ, এক জন স্পোর্টসম্যান কোনও ভাবে ব্যর্থ হলেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এটা সত্যিই দুঃখজনক। লক্ষ্মী আরও জানান, তাঁদের সময় অনুশীলনের জন্য স্টেডিয়ামে যেতে হত। কিন্তু বেশির ভাগ দিনই সেখানে অনুশীলন করতে পারতেন না। কারণ কোনও না কোনও সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকত। বছরে ৪-৫ মাস ইন্ডোরে অনুশীলনের সুযোগ পাওয়া যেত। ফিজিওর কথা তো চিন্তাই করা যেত না। এমনকী, কী ভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়, কী ভাবে চোট এড়ানো যায়— এ সব উপদেশ দেওয়ারও কেউ ছিল না।

আট বছর ধরে ভারতের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন লক্ষ্মী। রাজমুন্ড্রিতে কেরিয়ার শুরু করেন। লক্ষ্মী বলেন, “ওই সময় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে বড় কোনও কিছু করার কথা ভাবতেও পারতাম না।” অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তখন কোনও ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন ছিল না। যেখানে বেশির ভাগই ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হত কর্নাটক বা মহারাষ্ট্র থেকে। তখন চিন্তাভাবনা শুধু জাতীয় স্তরেই আটকে থাকত। সময় অনেক বদলেছে। এখনকার প্রজন্ম কেউ জাতীয় স্তর নিয়ে ভাবিত নয়। অলিম্পিক, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়েই তাঁরা বেশি আগ্রহী।

গোপী যখন অ্যাকাডেমি করার সিদ্ধান্ত নেন, পুরো সমর্থন পেয়েছিলেন লক্ষ্মীর কাছ থেকে। কারণ দু’জনেরই লক্ষ্য ছিল এক। ভবিষ্যতের কারিগর তৈরি করা। তাঁরা যেটা পাননি, সেই সমস্ত সুযোগ এখনকার খেলোয়াড়দের দেওয়া, যাতে তাঁরা বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় নিজেদের মেলে ধরতে পারে। তিল তিল করে গড়ে তোলা ‘গোপীচন্দ ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমি’র ফসল আজকের সিন্ধু-সাইনা-কাশ্যপরা।

তাই সারা দেশ যখন গোপীচন্দ আর সিন্ধুর সাফল্যে মাতোয়ারা, তখন নিঃশব্দে এই সাফল্যকে সেলিব্রেট করেছেন লক্ষ্মী। ‘বিহাইন্ড এভরি সাকসেসফুল ম্যান দেয়ারস আ উওম্যান’— স্বামীর সাফল্যে এই প্রবাদটাকে নিজের সঙ্গে একাত্ম করতে তিনি মোটেই রাজি নন। বরং সাফল্যের পুরো নম্বরটাই দিয়েছেন স্বামী গোপীকে। লক্ষ্মীমন্ত মেয়ের মতোই ঘর-সংসার-সন্তান সামলে স্বামীকে সব সময়েই সাপোর্ট দেওয়ার ফল যে তিনি পেয়েছেন সেটা বলাইবাহুল্য। রিও থেকে সিন্ধু বয়ে নিয়ে এসেছে রুপো। আর সাফল্য সঙ্গে নিয়ে এসেছেন গোপী। আর সেই সাফল্যের শরিক লক্ষ্মীও।

আরও পড়ুন

দিদিকে দেখেই এক লাফে জিপ থেকে নামলেন দীপা

PVV Laxmi Gopichand
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy