—ফাইল চিত্র।
এত দিন পর্যন্ত যিনি ছিলেন এ দেশের ফুটবলে অন্যতম ক্ষমতাশালী, সেই ভাইচুং ভুটিয়াকেই কার্যত ছেঁটেই ফেলল ফেডারেশন। টেকনিক্যাল কমিটিতে তো নয়ই, বৃহস্পতিবারের ফেডারেশনের বার্ষিক সভায় তৈরি হওয়া কোনও কমিটিতেই জায়গা হল না দেশের প্রাক্তন অধিনায়কের। তবে শোনা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের পরামর্শদাতা হতে পারেন তিনি। সেটা অবশ্য বেতনভূক পদ।
শ্যাম থাপাকে চেয়ারম্যান করে যে কমিটি তৈরি হয়েছে কোচ বাছার জন্য তাঁর ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন হেনরি মেনেজিস। কমিটিতে বাংলার দুই প্রাক্তন তারকা ফুটবলার প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রদীপ দত্তের সঙ্গে আছেন কয়েক মাস আগে আইএসএল খেলা ইসফাক আমেদও। জি পি ফাল্গুনা এবং অভিষেক যাদবের নাম আছে। ভাইচুংয়ের নাম নেই। তবে ভাইচুংয়ের জায়গায় টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান হয়ে খুশি শ্যাম থাপা। বললেন, ‘‘এখনও চিঠি পাইনি। পেলে আমার কাজ কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করব। কোচ বাছাই ছাড়া আরও কিছু কাজ করতে হলেও সেটা করব। ফুটবলের উন্নতির জন্য কাজ করতে চাই।’’ আর প্রশান্ত, যিনি এখন রাজ্য ফুটবল অ্যাকাডেমির কোচের দায়িত্বে তিনি বললেন, ‘‘বাংলাকে অবশেষে স্বীকৃতি দেওয়া হল। আমরা তিনজন আছি কমিটিতে। এ বার কেউ বলবে না বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’’
অনেকে বলছিলেন ডেভেলপমেন্ট কমিটিতেও ভাইচুংয়ের জায়গা হতে পারে। কিন্তু এ দিনের সভায় তার কিছুই হয়নি। আলোচনাতে কোথাও ওঠেনি ভাইচুংয়ের নাম। তবে প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন বাবু মাথের। সেই কমিটিতে নাম রয়েছে প্রদীপ চৌধুরীরও।
স্পোর্টস মেডিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ভেস পেজ। সভায় ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমাদের এখন একটাই মিশন। যুব বিশ্বকাপকে সফল করা। সবাই মিলে সেটা করতে হবে।’’ সভায় ঠিক হয়, এ বার ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের মতো ভারতেও রাজ্যগুলির পারফরম্যান্সের উপর র্যাঙ্কিং সিস্টেম চালু হবে। যা অভিনব। তবে এটা নিয়ে প্রশ্নও আছে। কারণ দেশের প্রায় অর্ধেক রাজ্যেই ফুটবল লিগ হয় না। হলেও দায়সারা ভাবে। সন্তোষ ট্রফি বা অন্যন্য জাতীয় টুনার্মেন্টে দল রাজ্যগুলো দল নামালেও সেটা নাম কা ওয়াস্তে। ফলে লড়াই হবে মূলত বাংলা, গোয়া এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy