Advertisement
E-Paper

সৌরভের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজ ‘দিল্লি চলো’ বাংলার

চায়ের আসরে ডেকে বাংলার রঞ্জি দলকে কার্যত ‘রিচার্জ’ করলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় ইডেন ক্লাব হাউসে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:০৫
সিএবি-তে চায়ের আসরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বাংলার ক্রিকেটাররা। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।

সিএবি-তে চায়ের আসরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বাংলার ক্রিকেটাররা। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।

চায়ের আসরে ডেকে বাংলার রঞ্জি দলকে কার্যত ‘রিচার্জ’ করলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় ইডেন ক্লাব হাউসে।

রঞ্জি ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচ থেকে ১৫ পয়েন্ট পেয়ে বাংলা আপাতত লিগ টেবলে নেট রান রেটে গুজরাতের পরেই। সেই গুজরাতের বিরুদ্ধেই এ বার ফিরোজ শাহ কোটলায় লড়াই মনোজ তিওয়ারিদের। দিল্লি রওনা হওয়ার আগের সন্ধ্যায় সৌরভের সঙ্গে বাংলার ক্রিকেটারদের ঘণ্টা খানেকের চায়ের আসর ছিল জমজমাট। দাদার সঙ্গে দেখা করতে পেরে যেমন মুগ্ধ দলের তরুণরা, তেমন খুশি দলের সিনিয়ররাও। সিএবি প্রেসিডেন্টের এই ‘দাদা’ হয়ে পাশে দাঁড়ানোটা সবার দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন বাংলার ক্রিকেটাররা। রঞ্জি দলের এমন ‘হ্যাপি ফ্যামিলি’ ওঠা বহু দিন দেখেনি বঙ্গ ক্রিকেট।

পরপর দুই ম্যাচে সরাসরি জয়ের পর দল যে ছন্দে চলে এসেছে, বুধবার সন্ধ্যায় সবাই মিলে চা খেতে খেতে সেই ছন্দ ধরে রাখার কথাই বলেন সৌরভ। চা চক্রে উপস্থিত তরুণ ক্রিকেটার অমিত কুইলা, অয়ন ভট্টাচার্যরা প্রথম সৌরভের মুখোমুখি হলেন এ দিন। অয়ন বলছিলেন, ‘‘দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হল। ভাবতেই পারছিলাম না, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন। এর পর যখন মাঠে নামার সুযোগ পাব, তখন নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার ইচ্ছেটা আরও বেড়ে যাবে।’’ কুইলা, যাঁকে এ দিন পুমা-র জুতোর স্পনসরশিপ এনে দেওয়ার কথা বলেন সৌরভ, সেই কুইলা বলেন, ‘‘দাদার প্রশংসা পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। এই দিনটা মনে রাখব। আর দাদার জন্যই এ বার থেকে প্রতি ম্যাচে নিজের সেরাটা দিতে হবে।’’

এ দিন অবশ্য এই চায়ের আসরে ছিলেন না তরুণ ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন, তারকা স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা ও কোচ সাইরাজ বাহুতুলে। তাঁরা যে যাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন দেড় দিনের ছুটি কাটাতে। তিনজনই বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন নয়াদিল্লিতে। ধর্মশালায় প্রজ্ঞানের ‘স্টিফ নেক’ হয়েছিল। এখন তিনি সুস্থ। পরের ম্যাচে খেলবেন বলেই খবর। দিল্লিতে মুকেশ কুমার ও ইশান পোড়েলকেও দলের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে বলে শোনা গেল।

এ দিন সন্ধ্যার অনুষ্ঠান নিয়ে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘রঞ্জি ট্রফির মাঝে এ রকম অনুষ্ঠান আমি কখনও আমার ক্রিকেট জীবনে পাইনি। খুব ভাল লাগল। দলের তরুণ ক্রিকেটাররা দাদা-র কথাবার্তা শুনে খুব উদ্বুদ্ধ হয়েছে। এমনিতেই পরপর দুটো ম্যাচ জিতে ওরা ‘চার্জড’ তার উপর দাদার সঙ্গে কথাবার্তা বলে ওরা ‘রিচার্জড’ হল বলতে পারেন।’’ এর পর গুজরাতের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তার পর আরও চারটে কঠিন ম্যাচ। এটাই আসল পরীক্ষা বলে জানিয়ে মনোজ বলেন, ‘‘মোমেন্টাম ধরে রাখাটাই বেশি কঠিন। তাই এখন আমাদের পরীক্ষাটাও আরও কঠিন। দাদাও আজ সেই কথাই বলল আমাদের সকলকে।’’

আর দাদা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে বলছেন, ‘‘ওদের এখন প্রতি ম্যাচে ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে। আমার বিশ্বাস আমাদের ছেলেরা এই কঠিন পরীক্ষায় উতরে যাবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy