পরামর্শ: অরুণের ক্লাসে অধিনায়ক মনোজ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
বাংলার ক্রিকেটারদের মাথায় একটিই মন্ত্র গেঁথে দিয়েছেন দলের মেন্টর অরুণ লাল। ‘‘পারফর্ম করো, না হলে বাইরে থাকো।’’ দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থেকে অধিনায়ক, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই সমান নিয়ম প্রযোজ্য।
কারও কাছ থেকে কোনও নালিশ শুনতে নারাজ তিনি। ‘টিম স্পিরিট’, বোঝাপড়া, আবেগ সব কিছুই তাঁর কাছে ‘অর্থহীন’। ক্রিকেটারদের থেকে ভাল পারফরম্যান্স দেখতে চান তিনি। শুক্রবার বাংলার অনুশীলন শেষে অরুণ বলেন, ‘‘ছেলেদের মনে করতে হবে যে, এটাই জীবনের সেরা মরসুম। এটা মাথায় থাকলে পারফরম্যান্সেও তার প্রভাব পড়বে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পারফরম্যান্সই শেষ কথা। যে পারফর্ম করবে, দলে থাকবে। যে করবে না, জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। সে অধিনায়কই হোক অথবা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।’’
দ্বিতীয় ম্যাচের দলগঠনের আগে সারা মরসুম অধিনায়ক থাকার জন্য তৈরি ছিলেন মনোজ। অথচ দ্বিতীয় ম্যাচের জন্যই দল বাছা হয় বৃহস্পতিবার। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ম্যাচের জন্যই অধিনায়ক রাখা হচ্ছে মনোজকে। যে সিদ্ধান্ত সমর্থন করে অরুণ বলেন, ‘‘নির্বাচকদের কাজ দল নির্বাচন করা। ওরা সেটাই করছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ এখন থেকেই বলতে পারে না। আজ যে অধিনায়ক, কাল নাও থাকতে পারে। পারফর্ম করুক, তার পরে দেখি কে দল থেকে বাদ দেয়।’’
মেন্টর হিসেবে অরুণ লাল যোগ দেওয়ার পরে হিমাচল প্রদেশ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে বাংলা। সোমবার থেকে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ মনোজ তিওয়ারিদদের। তাই শুক্রবার থেকে অনুশীলনে নেমে পড়েছে দুই শিবির। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় বাংলার অনুশীলন। ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী নেটে ঢোকেন অভিষেক রামন, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, মনোজ, অনুষ্টুপ মজুমদারেরা। কিন্তু অনুশীলনে আসতে পারেননি অভিমন্যু ঈশ্বরন। তাঁর বাবা অসুস্থ। অধিনায়ক জানিয়েছেন, শনিবার অনুশীলনে যোগ দেবেন অভিমন্যু। নেটে ব্যাট করতে দেখা গেল ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়কেও। যদিও তাঁর চিড় ধরা আঙুল ঠিক হয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
২০১৫-১৬ মরসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেই ইনিংসে পিছিয়ে থেকে ম্যাচ শেষ করেছিল বাংলা। ঈশ্বর পাণ্ডের গতিময় সুইং বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ১২১ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিলেন মনোজেরা। চার উইকেট নিয়েছিলেন ঈশ্বর। তাই মনোজ মনে করেন, ইডেনের গতিময় পিচে ঈশ্বরদের বিরুদ্ধে আরও দায়িত্ব নিতে হবে বাংলার ব্যাটসম্যানদের। তিনি বলেন, ‘‘গত ম্যাচে প্রত্যেকেই ভাল শুরু করেছিল। কিন্তু তা বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারেনি। এই ম্যাচে সেটা করলে চলবে না। আমাদের ব্যাটসম্যানেরা হাফসেঞ্চুরি করে, সেঞ্চুরি করে, কিন্তু দেড়শো অথবা ডাবল সেঞ্চুরি বেশি দেখা যায় না। যা বদলানোর সময় হয়ে গিয়েছে। ব্যাটসম্যানদেরও সেটাই বলা হয়েছে।’’
বিজয় হজারে ট্রফিতে বাংলা দলের যে, ছন্দপতন হয়েছিল মানছেন না বাংলার অধিনায়ক। মনোজের কথায়, ‘‘আমাদের কোনও ভাবেই ছন্দপতন হয়নি। দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে আলাদা করে জিজ্ঞাসা করা হলেও একই উত্তর পাওয়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy