নর্থইস্ট ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের অন্যতম মালিক জন আব্রাহামের সঙ্গে দলের আইকন ফুটবলার কাপদেভিয়া।
দেশের জার্সি হোক, বিশ্বকাপ বা ক্লাব, মাঠে নামলেই সাফল্য তাঁর সঙ্গী। স্পেনে ঘরোয়া লিগে ১৫ মরসুমে চারশোর উপর ম্যাচ খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়েও ৬০টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। এ বার তাঁর চ্যালেঞ্জ ভারতীয় ফুটবলে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। যেখানে নামার আগেই আইএসএলের ভবিষ্যত্ নিয়ে আশাবাদী তিনিহোয়ান কাপদেভিয়া। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র অন্যতম ভরসা এ দিন টিমের প্র্যাকটিস ম্যাচের পর অনুবাদককে নিয়ে টেলি কনফারেন্সে কথা বলেন আনন্দবাজারের সঙ্গে।
চার দিন পর কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে আইএসএলের প্রথম ম্যাচে নামার আগে এ দিনই এনইইউ এফসি-র প্র্যাকটিস ম্যাচ ছিল অসম একাদশের বিরুদ্ধে। কাপদেভিয়া গোল না পেলেও অ্যালেন ডিওরির হ্যাটট্রিটের দাপটে ৯-০ জয় পায় তাঁর টিম। হোক না প্রথম বার ভারতে আইএসএলের মতো উদ্যোগ নিয়ে কিন্তু তিনি প্রচণ্ড আশাবাদী। স্প্যানিশ তারকা বলে দেন, “ভারতে এমন ফুটবল লিগ এই প্রথম হচ্ছে। তবে আইএসএলের সম্ভাবনা প্রচুর। আমার বিশ্বাস, ধীরে ধীরে এটা ইউরোপের অন্য ফুটবল লিগের সঙ্গে তুলনা করার মতো জায়গায় উঠে আসবে। তাই বলছি এই লিগের ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল।”
ভারতে আসার আগে এ দেশের ফুটবল নিয়ে খুব একটা ধারণা ছিল না তাঁর। সেটাও সরাসরি স্বীকার করে নিলেন তিনি। “ভারতকে চিনতাম ক্রিকেটের জন্য। ভাবতাম ক্রিকেটই ভারতের অন্য সব খেলাধুলোর থেকে বেশি গুরুত্ব পায়। ভারতীয় ফুটবল নিয়ে তাই খুব বেশি জানতাম না।” আর এখন? ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর মানাতে সমস্যা হয়নি? নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসির তারকা বলে দেন, “যা আশা করেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছি। ভেবেছিলাম টিমের তরুণ প্লেয়ারদের সঙ্গে মানাতে সমস্যা হবে। কিন্তু তরুণরা দারুণ ভাবে মানিয়ে নিয়েছে। কোনও সমস্যাই হয়নি। আমাদের টিমটাও দারুণ। তবে টুর্নামেন্টটা সোজা হবে না। কড়া লড়াই হবে সেটা আগাম বলে দেওয়া যায়।”
টিম নিয়ে তিনি খুশি হলেও ভারতীয় ফুটবলারদের এই টুর্নামেন্টে চ্যালেঞ্জও তো কম নয়। তা সে এনইইউ এফসি হোক বা অন্য টিম। কাপদেভিয়া অবশ্য বলে দেন, “ভারতীয় ফুটবল যে ভাবে ক্রমশ উন্নতি করছে তাতে ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল।” ভারতীয় লিগের কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে স্প্যানিশ লিগও। কাপদেভিয়া বলে দেন, “স্পেনে লিগ দীর্ঘসময় ধরে হয়। ভারতে লিগ তিন মাস চলে। স্পেনে চলে ৯ মাস। দলও ওখানে অনেক বেশি। ভারতে দল যে খানে আটটা, স্পেনে কুড়িটা।”
বিশ্ব ফুটবলে স্প্যানিশ লিগের যতই সুনাম থাক ব্রাজিল বিশ্বকাপে সেটা কিন্তু একেবারেই সেটা ফুটে ওঠেনি। বরং স্পেনের হতশ্রী পারফরম্যান্সে প্রতিবাদের ঝড় উঠছে। কেন এই দুর্দশা ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের? কাপদেভিয়া বলে দেন, “আমার মনে হয় স্পেনের জার্সিতে এখন তরুণ প্লেয়ারদের সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। এক বার সেটা হলে স্পেন আবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে সাফল্য পাবে। আগের জায়গায় উঠে আসবে।”
আর দীর্ঘ ফুটবল কেরিয়ারে কোনও স্মরণীয় মুহূর্ত? কাপদেভিয়া বলেন, “আমার কাছে কেরিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ২০১০ বিশ্বকাপ জয়।” শুধু স্পেনের জার্সিতেই তো নয় ক্লাব ফুটবলে আটলেটিকো মাদ্রিদ, এসপ্যানিওল, বেনফিকা, ভিয়ারিয়াল, দিপোর্তিভোর হয়ে মাঠে নামার অভিজ্ঞতাও তো কম নয়। তার চোখে সেরা তারকা কাকে মনে হয়েছে? কাপদেভিয়া বলেন, “অনেক তারকা প্লেয়ারের সঙ্গেই মাঠে নামার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের মধ্যে আলাদা করে কাউকে বেছে নেওয়া বা সবার নাম বলাটা কঠিন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy