Advertisement
০৭ মে ২০২৪

পেপের হাতে তাঁরা ক্ষুধার্ত, বলে দিলেন কোম্পানি

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন দলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ আর্সেনাল এর আগে এক বারই খেলেছে। সেটা ১৯৭০ সালে এভার্টনের বিরুদ্ধে। সে বার ম্যাচ ২-২ ড্র হয়। এ বার লড়াইটা বেশ কঠিন। নতুন মরসুমের শুরুতেই তাদের খেলতে হচ্ছে মহাশক্তিধর ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সঙ্গে।

ভ্যানসঁ কোম্পানি।

ভ্যানসঁ কোম্পানি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০৪:২২
Share: Save:

বাইশ বছর পরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনাল তাদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে আর্সেন ওয়েঙ্গারকে ছাড়াই। তাও প্রতিপক্ষ গত বারের চ্যাম্পিয়ন পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। এমন একটা পরিস্থিতিতে গানার্সদের নতুন স্পেনীয় ম্যানেজার উনাই এমারি কিছুটা হলেও চাপে।

কোচিং জীবনে এমারি একেবারেই সফল নন এমনটা বলা যাচ্ছে না। তাঁর কোচিংয়ে সেভিয়া তিন বার ইউরোপা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গত মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সুবিধা করতে না পারলেও প্যারিস সাঁ জরমাঁ জিতেছে একই সঙ্গে ফরাসি লিগ ও ফরাসি কাপ। যদিও রবিবার তাঁর যুযুধান প্রতিপক্ষ পেপ গুয়ার্দিওলার সাফল্যের পাশে সেটা কিছুই নয়। উমারি নিজেই সেটা স্বীকার করে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে বলে গেলেন, ‘‘সন্দেহ নেই, ওর তুলনায় আমার সাফল্য কিছুই না। কিন্তু লা লিগায় যত বার ওর দলের বিরুদ্ধে খেলা হয়েছে তত বারই কিন্তু চমকপ্রদ লড়াই হয়েছে। আশা করছি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও সেটাই ঘটবে।’’

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন দলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ আর্সেনাল এর আগে এক বারই খেলেছে। সেটা ১৯৭০ সালে এভার্টনের বিরুদ্ধে। সে বার ম্যাচ ২-২ ড্র হয়। এ বার লড়াইটা বেশ কঠিন। নতুন মরসুমের শুরুতেই তাদের খেলতে হচ্ছে মহাশক্তিধর ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সঙ্গে। এমনিতে দু’দলের এর আগে ইপিএলে দেখা হয়েছে ১২ বার। যার মধ্যে দু’বার মাত্র জিতেছে আর্সেনাল। আর লিগের প্রথম ম্যাচেই এই দু’দলের সাক্ষাৎ শেষ বার হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। সে বার কিন্তু জর্জ গ্রাহামের আর্সেনালই ৩-০ জেতে। স্বভাবতই রবিবাসরীয় ইপিএলে আর্সেন ওয়েঙ্গারহীন আর্সেনাল বনাম পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যান সিটির ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। যে খেলা শুরু হবে রবিবার ঠিক সন্ধে ছ’টায়, এমিরেটস স্টেডিয়ামে। আর এই স্টেডিয়ামে শেষ বার আর্সেনালের কাছে ম্যান সিটি হেরেছিল ১-২ গোলে ২০১৫ সালে। বাকি পাঁচটি সাক্ষাতেই জয়হীন গানার্সরা।

ফুটবল বিশ্লেষকরা বলছেন, যে দলে ভ্যানসঁ কোম্পানি, কেভিন দে ব্রুইন, সের্খিয়ো আগুয়েরো, লেরয় সানে, রাহিম স্টার্লিংয়ের মতো ফুটবলার রয়েছে, তারা সব অর্থেই রবিবারও এগিয়ে থেকে শুরু করবে। সব চেয়ে বড় কথা এই ম্যান সিটির ম্যানেজারের নাম পেপ গুয়ার্দিওলা। বার্সেলোনা বা বায়ার্নে তিনি কী করেছেন তা ভুলে গিয়ে গত বারের সিটির পারফম্যান্সই আলোচনার পক্ষে যথেষ্ট। রেকর্ড ১০০ পয়েন্ট অর্জন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি গোল করে এবং সব চেয়ে বেশি ম্যাচ জিতে খেতাব লাভের নজিরও তারা গড়ে ফেলেছে। এখন দেখার, টানা দু’বার ম্যান সিটি খেতাবের ট্রফি তুলতে পারে কি না। ২০০৮ ও ২০০৯-এ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড যেটা করে দেখিয়েছিল। তার পর থেকে কোনও ক্লাব যা পারেনি। সিটি অবশ্য ২০১২-র পরে ২০১৪ সালে খেতাব জেতে। কিন্তু তার পর থেকে সে ভাবে সফল হতে পারছিল না দ্য ব্লুজ। ছবিটা বদলে যায় পেপ দায়িত্ব নেওয়ার পরেই। সিটির অধিনায়ক কোম্পানিও সে কথাই বলছেন, ‘‘এই ম্যানেজার আসতেই আমাদের জয় আর ট্রফির খিদেটা বেড়ে গিয়েছিল। আগে কখনও যা ছিল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE