গেটের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সমর্থক। মাঠের ভিতরে ঢুকতেই বদলে গেল পরিবেশ। পাওয়া গেল ডার্বির উত্তাপও। একটি গ্যালারির দখল নিয়েছেন যাঁরা তারা টানা দেড় ঘণ্টার ট্রেনিং সিডিউলকে মাতিয়ে রাখলেন সুরে সুরে। সঙ্গে ড্রামের দুমাদুম শব্দে সরগরম হয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি। তা গ্যালারি থেকে নেমে ততক্ষণ পর্যন্ত ক্লাব তাঁবুতে চলল যতক্ষণ না ক্লাব ছেড়ে বাড়ির রাস্তা ধরলেন ফুটবলাররা।
এক সময় মোহনবাগানের হয়ে দাঁপিয়ে খেলা কাটসুমি ইউসা এখন ইস্টবেঙ্গল মাঝ মাঠের বড় ভরসা। সমর্থকদের সেলফির আবদার মিটিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘‘ডার্বিটাই আলাদা। সেটা কোন ক্লাবের হয়ে খেলছি তাতে কিছু এসে যায় না। ওই ক্লাবের সকলেই আমার বন্ধু কিন্তু মাঠের ওই সময়টা কেউ কারও নয়।’’
সকাল ৯টায় দলবল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছিলেন খালিদ জামিল। শীতের সকালে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে সেই চাপা উত্তেজনা নেই। নেই কোনও গরম হাওয়ায়ও। হালকা মেজাজেই চলল গার্সিয়ার ফিজিক্যাল ট্রেনিং। তার পরই দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন কোচ খালিদ। তিনটি দলে ভাগ করে শুরু হল ম্যাচ প্র্যাকটিস। অর্ণব, এডু, চুলোভা, প্রকাশদের খেলায় সেই খিদেটা স্পষ্ট চোখে পড়ল। কাটসুমিও জানিয়ে গেলেন, এই ম্যাচটা দলের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার খেলাটাই খেলব। কিন্তু অবশ্য টিমের জন্য মাস্ট উইন ম্যাচ।’’