Advertisement
E-Paper

সংঘাতে অনড় দুই প্রধান ক্লাব

ইন্ডিয়ান সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ নতুন দলের জন্য হঠাৎ-ই নিলাম ডেকে দেওয়ায় শুক্রবার থেকেই একজোট হয়ে কার্যত যুদ্ধে নেমে পড়ল কলকাতার দুই প্রধান।

রতন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ০৩:৪৬
সংশয়: আইএসএলে এই লড়াই দেখা যাবে কি না এখনও অনিশ্চিত।

সংশয়: আইএসএলে এই লড়াই দেখা যাবে কি না এখনও অনিশ্চিত।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ নতুন দলের জন্য হঠাৎ-ই নিলাম ডেকে দেওয়ায় শুক্রবার থেকেই একজোট হয়ে কার্যত যুদ্ধে নেমে পড়ল কলকাতার দুই প্রধান।

তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে আইএসএলের চ্যাম্পিয়নদের যাতে এএফসি কাপে খেলার অনুমতি না দেওয়া হয়, সেই দাবি জানিয়ে এএফসি-কে চিঠি পাঠানো হল শুক্রবার। সেই চিঠিতে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবের সচিবই লিখলেন, ‘আমরা মিডিয়াতে দেখছি আইএসএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নকে এএফসি কাপে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে। সেটা হলে তা হবে নিয়মবিরুদ্ধ। দেশের এক নম্বর টুর্নামেন্টের বিজয়ীকেই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং এএফসি কাপে খেলার সুযোগ দেওয়া হোক। এই নিয়মের যেন কোনও পরিবর্তন না হয়।’

এএফসি-তে চিঠি পাঠালেও দুই প্রধানের এই জেহাদ আসলে ফেডারেশনের বিরুদ্ধেই। তাদের অভিযোগ, স্পনসরদের খুশি করতে প্রফুল্ল পটেল-রা নিয়ম বদলাতে চাইছেন। খবর হচ্ছে, বাহরিনে গিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের এএফসি কাপে খেলতে দেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করে এসেছেন তাঁরা। এএফসি-তে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি আইএসএলের বিরুদ্ধে কী ভাবে লড়াই তীব্র করা যায় তার রূপরেখাও তৈরির কাজ চলছে। যেমন দুই ক্লাবের কর্তাই একযোগে জানাচ্ছেন, আই লিগ খেললে সেটা যুবভারতীতেই খেলবেন। ফেডারেশন ঠিক করেছে, আইএসএল এবং আই লিগ একসঙ্গে পাশাপাশি চলবে। সেটা হলে দুই প্রধান ও আতলেতিকো দে কলকাতার ম্যাচ এক সঙ্গে পড়বে। যদি দুই প্রধান যুবভারতীতে খেলার দাবি তোলে, এটিকে-কে অন্য মাঠ খুঁজতে হবে। তাতে বড় রকমের ঝামেলা শুরু হবে।

যা খবর, এএফসি যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুনার্মেন্টের চ্যাম্পিয়নকে তাদের টুনার্মেন্টে খেলার অনুমতি দেয়, তা হলে তিনটি রাস্তা ভেবে রাখছে জোটবদ্ধ দুই প্রধান। এক) আদালতের দ্বারস্থ হওয়া। দুই) সদস্য-সমর্থকদের নিয়ে ফেডারেশন ও আইএসএল-বিরোধী লড়াই তীব্র করে তোলা। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের সাহায্য চাওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। তিন) আই লিগের অন্য ক্লাবগুলোকেও তাদের যুদ্ধে সামিল করার চেষ্টা।

মামলা করলে তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে আইন়জ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করার পাশাপাশি মিছিল, মিটিং বা ধর্নার কথাও ভাবা হচ্ছে। কারণ দুই প্রধানের বিভিন্ন ‘ফ্যান্‌স ক্লাব’ বা সদস্য-সমর্থকদের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া দেখে কর্তারা জোর পাচ্ছেন। দুই ক্লাবের দুই শীর্ষ কর্তা শুক্রবার বিকেলে বললেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে আইএসএল বিরোধী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তাতে আমরা একসঙ্গে রাস্তায় নামলে কলকাতায় আতলেতিকো দে কলকাতার ম্যাচ করা কঠিন হবে। আমাদের দুটো ক্লাবকে এভাবে মেরে ফেলার চেষ্টার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবিও তুলেছেন অনেকেই। আমরাও আশা করছি বাংলার কোটি কোটি সমর্থকের আবেগের কথা ভাববেন মুখ্যমন্ত্রী।’’

ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান আইএসএল খেলার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনার নিলামে অংশ নেবে না। শুরু থেকেই তারা এটা জানিয়ে আসছে। সেই সিদ্ধান্তে তারা এখনও অনড়।

তাতে যে লড়াই করতে হোক, মানসিকভাবে সে জন্য নিজেদের তৈরি রাখছেন দুই প্রধানের কর্তারা।

Football ISL Mohun Bagan East Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy