Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

চার ম্যাচই পাখির চোখ

দু’দলেরই পয়েন্ট তিন ম্যাচে তিন। তারা শতাব্দী প্রাচীন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং গত কয়েক মরশুম পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব। আপাতত আট দলের মধ্যে তাদের তালিকায় নম্বর যথাক্রমে পাঁচ এবং ছয়। গোল পার্থক্যে মহমেডান খানিকটা এগিয়ে। দু’দলের মধ্যে মিল পয়েন্ট তালিকা অনুযায়ী এটুকুই। তাছাড়়া আর কোনও মিল আপাতত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সংগ্রাম সিংহ রায়
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৪৬
Share: Save:

দু’দলেরই পয়েন্ট তিন ম্যাচে তিন। তারা শতাব্দী প্রাচীন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং গত কয়েক মরশুম পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব। আপাতত আট দলের মধ্যে তাদের তালিকায় নম্বর যথাক্রমে পাঁচ এবং ছয়। গোল পার্থক্যে মহমেডান খানিকটা এগিয়ে। দু’দলের মধ্যে মিল পয়েন্ট তালিকা অনুযায়ী এটুকুই। তাছাড়়া আর কোনও মিল আপাতত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মহমেডান যেখানে জেতার পরিস্থিতি তৈরি করেও হারের কারণ খুঁজে পাচ্ছে না, সেখানে ইউনাইটেডের চিন্তা বাকি ম্যাচগুলোতে হারের ব্যবধান কমিয়ে স্কোরলাইন ভদ্রস্থ করা। এটাই এখন তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জ।যদিও মুখে তা স্বীকার করছেন না তারা। খেলোয়াড়়দের কাছে বারবার সহকারী কোচ অঞ্জন নাথ শিলিগুড়়ির বাকি চারটি ম্যাচে জেতার জন্য ঝাঁপানোর জন্য বলছেন। কিন্ত তাতে বিশ্বাস খুব একটা নেই।

এ দিন অবশ্য কোনও দলই ‘শোকের আবহ’ কাটিয়ে অনুশীলনে মন দিতে পারেনি। মহমেডান যদিও বিকেলে হালকা স্ট্রেচিং করে শক্তিগড়় মাঠে। এখনও পর্যন্ত তারা তিনটি ম্যাচই খেলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে। এরপরের ম্যাচে তাদের খেলতে হবে রানীডাঙ্গার এসএসবি মাঠে।এই মাঠ নিয়ে তারা চিন্তায় রয়েছেন বলে জানালেন মহমেডান কোচ অনন্ত ঘোষ। মাঠ ছোট হওয়ায় তাদের সমস্যা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ছেলেরা পাস নির্ভর ফুটবল খেলে। ফলে ছোট মাঠে তা আটকে গেলে সমস্যা হতে পারে।’’ তবে মাঠ দেখে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করবেন বলে জানালেন। সোমবার সকালেও হালকা অনুশীলন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের বলে জানালেন। বিকেলে মাঠ দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

ইউনাইটেডের পক্ষে বড়় চ্যালেঞ্জ হল পুরো ম্যাচ খেলা। খেলোয়াড়়রা গোল খেয়ে গেলেই ম্যাচ ছেড়ে দিচ্ছে।এই প্রবণতা বন্ধ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন অঞ্জনবাবু। এমনিতেই মূল কোচ সত্যব্রত ভৌমিক মায়ের অসুস্থতার জন্য কলকাতা ফিরে গিয়েছেন। কবে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তাও জানা নেই কারওই। দলের আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে। তা সত্ত্বেও এদিন অনুশীলনে ছুটি দেওয়া হয়েছিল গোটা দলকে। টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনা, গলদ খেলায় নয়। রয়েছে মানসিকতায়। তাই দলকে মানসিকভাবে চনমনে রাখার উপরেই জোর দিচ্ছেন তাঁরা। দলের সহকারী কোচ বলেন, ‘‘আমাদের এখানকার বাকি সবকটি ম্যাচ জেতার জন্য ঝাঁপাতে হবে। এছাড়়া কোনও দ্বিতীয় পথ নেই।’’ বললেন বটে, তবে হবে কিনা তিনি নিজেও জানেন না। চানমারি এফসি ও আইজল এফসি এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় তিনটির প্রত্যেকটিতে জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। গোলপার্থক্যে শীর্ষে চানমারি। ঘাড়়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলছে লোনস্টার কাশ্মীরও। তাদের পয়েন্ট ৬। সেখানে বাংলার দুই দলের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE