তারকা: ফের একসঙ্গে দেখা দিলেন বিরাট-অনুষ্কা।
তারে জমিন পর! ভারতীয় ক্রীড়া এবং বিনোদন জগতের এক ঝাঁক নক্ষত্র। সেই তালিকায় কে নেই— আমির খান থেকে অক্ষয় কুমার। সানিয়া মির্জা থেকে সাইনা নেহওয়াল। হার্দিক পাণ্ড্য থেকে জাহির খান। কিদম্বি শ্রীকান্ত থেকে ‘গুরু’ পুল্লেলা গোপীচন্দ।
কিন্তু এই নক্ষত্র সমাবেশের মধ্যেও নজর কেড়ে নিয়ে গেলেন যে দু’জন, তাঁদের নাম— বিরাট কোহালি এবং অনুষ্কা শর্মা।
শনিবার রাতে মুম্বইয়ে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করার অনুষ্ঠানে হাতে হাত ধরে হাজির হন ‘বিরুষ্কা।’ যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সাড়া পড়ে যায় তাঁদের ভক্তদের মধ্যে। নেভি ব্লু স্যুটে কোহালি, লাল প্যান্ট-স্যুটে অনুষ্কা। লাল কার্পেটের ওপর দিয়ে দু’জনে হেঁটে আসার সময়ই শুরু হয়ে যায় ফ্ল্যাশ লাইটের ঝলকানি। হাসি মুখে ফোটোগ্রাফারদের জন্য ‘পোজ’ দিতেও দেখা যায় দু’জনকে।
ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের জন্য এ বার থেকে চালু হল ‘ইন্ডিয়ান স্পোর্টস অনার।’ কোহালির উদ্যোগে যে অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হল দেশের সফল ক্রীড়াবিদদের। গত সেপ্টেম্বরে এই পুরস্কার অনুষ্ঠান নিয়ে কোহালি বলেছিলেন, ‘‘ক্রীড়া জগতে ভারত এখন অনেকটাই এগিয়েছে। এখন আর একটি বিশেষ খেলার দেশ বলে ভারতকে চিহ্নিত করা যাবে না। তাই এখন সময় এসেছে সেই সব ক্রীড়াবিদকে স্বীকৃতি দেওয়ার যাঁরা দেশকে সম্মানিত করেছেন। সময় এসেছে সেই সব তরুণ ক্রীড়াবিদের ওপর সার্চলাইট ফেলার, যারা খেলাধুলোয় ভারতের ভবিষ্যৎ হয়ে উঠবে।’’
আমির খানের সঙ্গে হার্দিক পাণ্ড্য। শনিবার। ছবি: টুইটার।
হার্দিক থেকে শ্রীকান্ত, সানিয়া, প্রায় সবারই মুখে একটাই কথা— এই ধরনের পুরস্কার এক জন ক্রীড়াবিদকে নিজের সেরাটা দিতে উদ্দীপিত করে। হার্দিক বলছিলেন, ‘‘ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের বেশি পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ ঘটে না। তাই কোনও পুরস্কার জিতলে বা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলে একটা বিশেষ অনুভূতি হয়।’’ শ্রীকান্তের বক্তব্য, ‘‘আমার কাছে এই বছরটা খুব ভাল গিয়েছে। আর এ রকম একটা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে তো খুব ভাল লাগছে। এ রকম মঞ্চে কেউ পুরস্কার পেলে সে তো ভবিষ্যতে সবসময় নিজের সেরাটা দিতে চাইবে।’’
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ খুললেন বিরাট কোহালি, ঢুঁ মেরে আসবেন নাকি!
সবার অবশ্য বছরটা সমান কাটেনি। যেমন সানিয়া মির্জা। ভারতীয় টেনিসের অন্যতম মুখ বলছিলেন, ‘‘এ বছরটা বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। আমার সঙ্গী চোট পেয়ে গেল। তার ওপর আমি এখন হাঁটুর চোটে ভুগছি। দেখা যাক অস্ত্রোপচার দরকার হয় কি না।’’
এ রকম একটা মঞ্চে আসার সুযোগ পেয়ে খুশি ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীও। সুনীল বলছিলেন, ‘‘অন্যান্য খেলার লোকেদের সঙ্গে আমাদের দেখা হওয়া বেশি সুযোগ থাকে না। সেই সুযোগটা এখানে পেলাম। খুব ভাল লাগছে।’’
নানা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বিভিন্ন ক্রীড়াবিদ। তবে তাঁর নামটা এই তালিকায় কেউ রাখেনি। তাই হয়তো নিজেকে তিনি একটি বিশেষ বিভাগের জন্য নিজেই বেছে নিলেন— অলরাউন্ডার। ‘‘আমি তো কখনও কুস্তিগির, কখনও ক্রিকেটার, কখনও বা সাইক্লিস্টও হয়েছি। তাই আমাকেই অলরাউন্ডারের পুরস্কার দেওয়া হোক।’’ নিজের নামটা নিজেই সুপারিশ করে বললেন তিনি।
বক্তার নাম? আমির খান!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy