ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে পোলান্ড। আর তাদের সঙ্গেই গ্রুপ এইচ-এ শেষ খেলা জাপানের। এশিয়ার দেশটির লক্ষ্য, পোলান্ডকে হারিয়ে এই গ্রুপ থেকে এক নম্বর দল হিসেবে নক আউটে যাওয়া। জাপানের অধিনায়ক মাকোতো হাসেবে বলেছেন, ‘‘জাপান এমনই একটা দল যারা সব সময় তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে নামে। পোলান্ড ম্যাচেও সেটাই মাথায় রাখছি।’’ এমনিতে পোলান্ডের বিরুদ্ধে না জিতে ড্র করলেও জাপান নকআউটে যাবে। তবে কোনও কারণে বড় ব্যবধানে তারা হেরে গেলে অঙ্কটা খানিকটা হলেও জটিল হতে পারে। বিশেষ করে যদি কলম্বিয়া তাদের শেষ ম্যাচে সেনেগালকে হারিয়ে দেয়।
জাপানের খেলার থেকেও লোকের উৎসাহ অবশ্য সেনেগাল বনাম কলম্বিয়া লড়াই নিয়ে বেশি। কারণ এই ম্যাচটাতেই মীমাংসা হবে গ্রুপের অন্য কোন দেশ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। দু’ম্যাচ খেলে সেনেগালের পয়েন্ট ৪। আর কলম্বিয়ার সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। ম্যাচ ড্র করলেই চলবে সেনেগালের। সেখানে কলম্বিয়াকে পরের রাউন্ডে যেতে জিততে পারলেই ভাল। না হলে তাদের পোলান্ড-জাপান ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে। জাপান যদি হেরে যায় তা হলে কলম্বিয়া ড্র করলেও পরের রাউন্ডে খেলবে। কিন্তু জাপান জিতলে বা ড্র করলে কলম্বিয়াকে জিততেই হবে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির কোচ বিখ্যাত জোসে পেকারম্যান স্বীকার করেছেন পোলান্ডের বিরুদ্ধে ৩-০ জয় তাঁদের আত্মবিশ্বাসী করেছে, ‘‘পোলান্ডের বিরুদ্ধে একটা সত্যিকারের ভাল দলের মতো আমরা খেলেছি। যে কারণে গোল এসেছে। বিশ্বকাপেও আমরা ভাল জায়গায়। সেনেগালের বিরুদ্ধে তাই জেতা ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না।’’ কলম্বিয়ার মতোই সেনেগালও প্রথম ম্যাচে পোলান্ডকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল। কিন্তু জাপানকে তারা হারাতে পারেনি। সেনেগালের কোচ অ্যালিয়ো সিসে স্বীকার করেছেন, ‘‘জাপানের বিরুদ্ধে আমরা প্রত্যাশিত ফুটবলটা খেলতে পারিনি। কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই খেলতে নামব। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy