তারকাকে হাতের কাছে পেয়ে ফ্রেমবন্দি করে রাখা। শনিবার শিলিগুড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
কারও প্রশ্ন, একটা খারাপ শট নেওয়ার পর মনটা ভেঙে যায়, খুঁতখুঁত করে, টেনশন হয়। কারও জিজ্ঞাসা খেলতে গিয়ে মনের রাগটা কমাব কী করে? কেউ জানতে চাইছে মনোবল কী ভাবে বাড়াব? অনেকের প্রশ্ন, তোমাকে খেলার সময় নিরুদ্বিগ্ন লাগে, কী ভাবে সেটা বজায় রাখো?
শনিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি অগ্রগামী ক্লাবের জুনিয়র ক্রিকেটার, টেবল টেনিস খেলোয়াড়রা এ সব প্রশ্ন করছিলেন ঋদ্ধিমান সাহাকে। ভারতীয় দলের উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান, তাদের প্রিয় পাপালিদাকে। অন্তত তিন ঘণ্টা তাদের সঙ্গে কাটিয়ে একে একে এ সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন পাপালি। তার সঙ্গে ছবি তুলে, কথা বলে খুশি ক্লাবের খেলোয়াড়রাও।
কী করে মানসিক চাপ এবং নানা বাধা পার হয়ে এগিয়ে যাব? অগ্রগামী সঙ্ঘের টেবল টেনিস খেলোয়াড় শতপর্ণী দে জানতে চাইলেন পাপালিদার কাছে। ঋদ্ধিমান তাকে জানাল, ‘না’ শব্দটা বলা চলবে না। ধর, কেউ জানতে চাইল তুমি কী এখন বাড়ি যাবে? তুমি যাবে না, সেটা না বলে ঘুরিয়ে বল। বল আমি ৮টায় যাব। বা অন্য কিছু। কিন্তু না শব্দটা দিয়ে বলবে না। ‘না’ ছাড়া কথা বলা অভ্যাস কর। পরিচিতদের বল তারা যাতে তোমাকে না বলাতে চেষ্টা করে। আর তুমি সেটা অন্য ভাবে উত্তর দেবে।
ঋদ্ধিমানের কথায়, ‘‘কাজ করতে গিয়ে ভুল সবাই করে। সেটা সংশোধন করতে হবে। শট ভুল হলে এটা নিয়ে বেশি ভেবো না। পরেরটা কী ভাবে খেলবে সেটার দিকে মন দাও। আমার কিপিংয়ের ক্ষেত্রে যেটা মিস করছি সেটা মাথায় রাখলে তো টেনশন হবে। ওটা নিয়ে ভাবলে পেশি শক্ত হতে থাকবে। স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারব না। খেলার সময় আমি টেনশন করি না। তাতে তো খেলাটা নষ্ট হবে।’’ ক্লাবের খেলোয়াড়দের প্রতি তাঁর পরামর্শ, রোজ অনুশীলনের সময় ভুল হবেই। কটা ঠিক করতে পারছ সেটা নজর রেখে চেষ্টা কর। কোনও খেলায় যদি তুমি দারুণ হও তোমার দুর্বলতা, ভালগুণ সবাই জানুক। কিন্তু কিছুতেই তোমাকে কাবু করতে পারবে না। এমন হলে তবেই তুমি ঠিক আছ। অর্কদীপ ভট্টাচার্য, অভিজিৎ ছেত্রী, নবাঙ্কুর ঘোষদের মতো ক্লাবের ক্রিকেটাররা তাদের মত করে নিজেদের সমস্যাগুলি তুলে ধরে জানতে চাইলেন ঋদ্ধিমানের কাছে।
বস্তুত, অগ্রগামী সঙ্ঘেই এক সময় ক্রিকেট খেলতে ঋদ্ধিমান। এখান থেকেই উঠে আসতে হয়েছে তাকে। ব্যক্তিগত উদ্যোগেই যে সকলকে চেষ্টা করতে হবে সে কথাও বারবার ফঠতি ক্রিকেটার, ক্লাবের অন্য খেলোয়াড়দের বোঝান। শিলিগুড়িতে আসলে ক্লাবে আড্ডায় আসেন ঋদ্ধি।
আলোচনায় ছিলেন ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা তথা ঋদ্ধিমানের কোচ জয়ন্ত ভৌমিক-ও। তিনি বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি এলে ও ক্লাবে আসবেই। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আড্ডাও দেয়। খেলোয়াড়রাও তাদের অসুবিধাগুলি কী ভাবে কাটিয়ে ফঠবে তা নিয়ে জানতে চাইলে পরামর্শ দেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy