পেশাদার লিগে আবার চূড়ান্ত অপেশাদারিত্ব। মাঝেমধ্যেই নানা কারণে বাতিল হয়ে যাচ্ছে খেলা। কখনও আলোর অভাবে, কখনও বা অ্যাম্বুল্যান্স না থাকার জন্য। শনিবার যেমন কালীঘাট এমএস বনাম সাদার্ন সমিতির ম্যাচ পরিত্যক্ত হল অ্যাম্বুল্যান্স সময় মতো না পৌঁছানোয়।
প্রিমিয়ার লিগের সূচিতে, এ দিন কল্যাণী স্টেডিয়ামে দুপুর তিনটে থেকে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। দু’টি দল এবং রেফারি মাঠে পৌঁছে যাওয়ার পর দেখা যায় অ্যাম্বুল্যান্স নেই। নিয়মানুযায়ী, অ্যাম্বুল্যান্স না থাকা অবস্থায় ম্যাচ শুরু করা যাবে না। মাঠে যখন অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছায়, তখন পঁয়ত্রিশ মিনিট পেরিয়ে গিয়েছে। এর পর আবার সাদার্ন এবং কালীঘাট এমএস দু’দলই ম্যাচ শুরুর আগে গা ঘামানোর জন্য দশ মিনিট সময় চেয়ে নেয়। সব মিলিয়ে ম্যাচ চারটের আগে শুরু করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আলোর সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এই ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ কমিশনার হরিসাধন ঘোষ। আইএফএ-কে যে রিপোর্ট তিনি জমা দিয়েছেন তাতে এই ব্যাখ্যাই রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও কল্যাণীতে উপস্থিত আইএফএ কর্মীর দাবি, “এ দিন বৃষ্টি বা খারাপ আবহাওয়া ছিল না, তাই ম্যাচ করলে সমস্যা হত না। আলো থাকতে থাকতেই ম্যাচ শেষ হয়ে যেত। দু’টি দলও খেলতে রাজি ছিল। কিন্তু ম্যাচ কমিশনার অহেতুক ম্যাচটি বাতিল করে দিলেন।” ম্যাচ কমিশনার হরিসাধনবাবু যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাতে নাকি লেখা রয়েছে, চারটের সময় ম্যাচ শুরু হলে, আলো থাকতে থাকতে শেষ করা সম্ভব ছিল না। কারণ কল্যাণী স্টেডিয়ামে কোন ফ্লাড লাইট নেই।
এক মাসে লিগ শেষ করা হবে, দাবি করেছিল আইএফএ। নানা কারণে যে ভাবে ম্যাচ পিছোচ্ছে, তাতে লিগ কত দিনে শেষ হয় এখন সেটাই দেখার।
হকির সমস্যা: এশিয়ান গেমসের মুখে টার্ফ সমস্যায় বড়সড় ধাক্কা খাচ্ছে ভারতের মহিলা হকি দলের প্রস্তুতি। ভারতীয় হকির হাই পারফরম্যান্স ডিরেক্টর রোল্যান্ট ওল্টমানস এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছেন সাই কর্তৃপক্ষকে। তিনি জানিয়েছেন পাতিয়ালায় দেশের অন্যতম সেরা সাই কেন্দ্রের কৃত্রিম টার্ফ-এর অবস্থা এতটাই বিপজ্জনক যে, মেয়ে দলের অনুশীলন সেখানে করানোর ঝুঁকি নিতে নারাজ জাতীয় কোচ নিল হ্যাগউড। বেঙ্গালুরু এবং ভোপালের সাই কেন্দ্রের টার্ফ-এরও একই দশা। ব্যবহারযোগ্য রয়েছে একমাত্র দিল্লি সাই-এর কৃত্রিম টার্ফ। কিন্তু সেখানে সিনিয়র ও জুনিয়রদের একসঙ্গে অনুশীলনের সমস্যা রয়েছে। এতে এশিয়াডের প্রস্তুতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, জানিয়েছেন ওল্টমানস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy