E-Paper

রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজনীতি বরদাস্ত করবে না সুপ্রিম কোর্ট, বার্তা বোসকে

বিচারপতিরা বলেন, ‘‘অন্য অনেক ক্ষেত্র আছে যেখানে মতাদর্শগত দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে এমনটা কাম্য নয়। উপাচার্য নিয়োগে রাজনীতি করবেন না। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা প্রয়োজন।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ০৮:৪১
supreme court

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজনীতি সুপ্রিম কোর্ট বরদাস্ত করবে না বলে শুক্রবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানাল। এ দিন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানিকে এই বার্তা দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

পাশাপাশি অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজ্য যে তালিকা দিয়েছে তা থেকে সাত দিনের মধ্যে আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দু’পক্ষের আর্জি মেনে ভবিষ্যতে বাকি থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটি সিলেকশন কমিটি তৈরি করে দেবে আদালত। শীর্ষ আদালতের গ্রীষ্মাবকাশের মধ্যেই ওই কমিটি তৈরির কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে। গ্রীষ্মাবকাশের পরে ১২ জুলাই ফের এই মামলার শুনানি হবে।

এ দিন শুনানিতে রাজ্যপালের আইনজীবী আর বেঙ্কটরামানি বলেন, রাজ্য যে তালিকা দিয়েছে তার মধ্যে সাত জনকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদে নিয়োগের অযোগ্য বলে মনে করেন রাজ্যপাল। সেই সাত জনের নাম রাজ্যকে জানানো হবে বলেও বেঙ্কটরামানি জানিয়েছেন। রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, রাজ্য যদি জানত সাতটি নামে রাজ্যপালের আপত্তি রয়েছে তবে তারা নতুন তালিকা দিত। ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য ৬২টি নাম দিয়েছে রাজ্য।

বিচারপতিরা জানান, বর্তমানে যে তালিকা নিয়ে সমস্যা তার মধ্যে আট জনের নামে যদি আচার্যের আপত্তি না থাকে তবে সেই আট জনকে নিয়োগ করা হোক। বাকি যে সাতজনের নাম নিয়ে আচার্যের আপত্তি রয়েছে, তার জন্য ১২ থেকে ১৫ জনের নামের তালিকা দিক রাজ্য।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রাজ্য অযোগ্য ব্যক্তির নাম দিয়েছে। তাদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। ফলে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দুই শিবিরের দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে। জবাবে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘অন্য অনেক ক্ষেত্র আছে যেখানে মতাদর্শগত দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন মতান্তর কাম্য নয়। উপাচার্য নিয়োগে রাজনীতি করবেন না। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা প্রয়োজন। তা না হলে আমাদের পদক্ষেপ করতে হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Supreme Court of India West Bengal vice chancellor

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy