রোজ বোলের মতোই ওল্ড ট্র্যাফোর্ড উইকেট। শুধু আরও একটু দ্রুত আর বাউন্সি। শেষের দিকে বেশি টার্নও করবে। আমি ভারত অধিনায়ক হলে পঙ্কজ সিংহকে আরও একটা সুযোগ দিতাম। একজন ব্যাটসম্যানের জায়গায় অশ্বিনকে খেলাতাম। এই টেস্টের মূল চাবিকাঠি হতে চলেছে ক্রিজে ব্যাটসম্যানদের সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে পারা। ভারত বিপক্ষের কুড়িটা উইকেট তোলার মতো বোলিং করতে পারে কি না সেটাও দেখার। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে যদিও অ্যাডভান্টেজ ইংল্যান্ড, তবে আমি একইসঙ্গে একটা উত্তেজক টেস্ট দেখারও আশা করছি।
অতীত যদি কোনও সঙ্কেত হয়, তা হলে বিদেশে ভারত তেমন সুবিধে করতে পারে না। তা ছাড়া, বর্তমান ভারতীয় দলের একজনেরও পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তাই ভারতকে অ্যান্ডারসন-জাডেজা ‘থুতু ছেটাছেটি’ মাথা থেকে হটিয়ে দিয়ে আরওই বেশি করে সমস্ত মনোযোগ ক্রিকেটেই দেওয়া দরকার, যদি তারা সিরিজ জিততে চায়।
তেমনই ভারতের উঠে দাঁড়াবার জন্য বিরাট কোহলির ঝুলিতে কিছু বড় রানের দরকার। উপমহাদেশে ওর প্রচুর বড়-বড় রান আছে, কিন্তু ইংল্যান্ডে অফস্টাম্পের আশপাশের লাইনের বলের হদিশ পাচ্ছে না। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেও ইংরেজ বোলাররা অফ স্টাম্পের বাইরে আর শর্ট-অব-লেংথে বল করে কোহলিকে যে বিরক্ত করবে, সেটা আটকানোই ওর রানে ফেরার প্রধান রাস্তা। বিপক্ষ কোহলির বটম-হ্যান্ড গ্রিপ সম্পর্কে রীতিমতো ওয়াকিবহাল হয়ে এমন একটা বোলিং লাইন বার করেছে, যাতে ওর স্বাভাবিক স্ট্রোক-প্লে আটকে যাচ্ছে। কোহলিকে এখন উইকেট কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। আর একবার কিছু রান পেয়ে গেলে, যেটা ও এই সিরিজে বারকয়েক পেয়েছেও— তখন সেটাকে বড় স্কোরে ওকে পরিণত করতেই হবে।
সাউদাম্পটনে ভারতকে ডুবিয়েছে ওদের বিশ্রী ব্যাটিং। ভাল ব্যাটসম্যানও স্রেফ ক্রিজে গিয়েছে, কিছু রান করেছে, তার পর সাধারণ ডেলিভারিতে আউট হয়েছে। খারাপ শটে আউট হওয়ার নজির প্রচুর। সেটা কি দলে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান থাকায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস? আরও যেটা হতাশার ব্যাপার, ঘরের মাঠে স্পিনের বিরুদ্ধে ভাল ব্যাটসম্যান হওয়া সত্ত্বেও আগের টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা মইন আলির বিরুদ্ধে না কোনও চাপ তৈরি করতে পেরেছে, না কোনও পরিকল্পনা দেখাতে পেরেছে।
তৃতীয় টেস্টে বল সারাদিন সুইং করেছে। এবং সেটা ভারতীয় বোলারদের চেয়ে অ্যান্ডারসন-ব্রডকে সাহায্য করেছে বেশি। ইশান্ত শর্মার অনুপস্থিতিতে ভারতীয় বোলিংকে তেমন কার্যকরী দেখায়নি। ভুবনেশ্বর কুমার বাদে, যার আবার গোড়ালির চোট ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ভারতের চিন্তার বিষয়, পঙ্কজ সিংহ ভাল বল করেছে। কুক, ব্যালান্স, বেল— ইংল্যান্ডের তিন সর্বাধিক স্কোরারের উইকেটই পঙ্কজ পেতে পারত। কিন্তু বাস্তবে ও গোটা ম্যাচে উইকেটহীন।
টেস্ট ক্রিকেটটা যে বড্ড কঠিন খেলা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy