ফুটবলজীবনে যে পরিস্থিতির সামনে তাঁকে পড়তে হয়নি, প্রশাসক হিসাবে সেই অভিজ্ঞতা হল মিশেল প্লাতিনির। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে কটাক্ষ করায় তাঁর সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল উয়েফা প্রেসিডেন্টকে। ৬১টি ফুটবল নিয়ে ভাঙচুর চালানো হল প্লাতিনির বাড়িতে।
কয়েক সপ্তাহ আগেই রোনাল্ডোকে কটাক্ষ করে প্লাতিনি বলেন, “ব্যালন ডি’অর জেতার যোগ্য দাবিদার অনেক। তবে কোনও বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারের হাতে বিশ্বসেরার খেতাব ওঠা উচিত।” যার পরেই রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় সরকারি ভাবে। দলের কোচ কার্লো আন্সেলোত্তিও বলেন, “ব্যালন ডি’অর প্রসঙ্গে এ রকম মন্তব্য করা ঠিক হয়নি প্লাতিনির।” কিন্তু প্লাতিনির বিরুদ্ধে রিয়াল পদক্ষেপ না করলেও, সিআর সেভেনের সমর্থকরা ক্ষমা করেননি প্লাতিনিকে। যার প্রমাণ পাওয়া গেল শুক্রবার। প্লাতিনির প্যারিসের বাড়ির সামনে একদল রোনাল্ডো-সমর্থক ৬১টা ফুটবল নিয়ে মারতে থাকেন। কারণ ২০১৪-তে সিআর সেভেনের গোলসংখ্যা ছিল ৬১! নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেওয়ায় সবক’টা ফুটবল না মারতে পারলেও প্লাতিনির বাড়ির কাচ ফেটে যায়।
এ দিকে, ব্যালন ডি’অর জিতবেন কে তার জন্য আরও আটচল্লিশ ঘণ্টার অপেক্ষা থাকলেও, সদ্য আইএসএলে খেলে যাওয়া ইতালির কিংবদন্তি আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরোর বাজি কিন্তু ম্যানুয়েল ন্যয়ার। “রোনাল্ডো দারুণ খেলেছে। কিন্তু ব্যালন ডি’অর ন্যয়ারের জেতা উচিত। ও গোলিকিপিংয়ে নয়া দিশা দেখিয়েছে।”
যে রোনাল্ডোকে নিয়ে এত নাটক এ দিন আবার তাঁর ক্লাব নেমেছিল লা লিগার লড়াইয়ে। বছর শুরুতে পরপর দুই ম্যাচ হেরে প্রশ্ন উঠে যায় রিয়াল মাদ্রিদের ফর্ম নিয়ে। কিন্তু এ দিন এস্প্যানিয়লকে ৩-০ হারিয়ে আবার দাপট দেখালেন রোনাল্ডো-বেলরা। শুরুর দিকেই হামেস রদ্রিগেজের গোলের সৌজন্যে ১-০ এগোয় রিয়াল। যে গোলের পাস বাড়ান স্বয়ং রোনাল্ডো। বিরতির আগে গ্যারেথ বেলের গোলে ব্যবধান বাড়ায় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের ছবি পাল্টায়নি। বরং প্রতি মিনিটে আক্রমণের ঝড় তোলে রিয়াল। অবশেষে নাচোর গোলে ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে। এই জয়ের কারণে লা লিগা টেবিলের শীর্ষেই থাকল রোনাল্ডোর দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy