Advertisement
E-Paper

পোলার্ডরা মনে রাখুক, মাঠটা গুন্ডামির জায়গা নয়

কাউকে শারীরিক আক্রমণের চেষ্টা বা বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণআর যাই হোক, খেলার মাঠে এগুলো বরদাস্ত করা যায় না। মঙ্গলবার রাতে ওয়াংখেড়েতে স্টার্ক আর পোলার্ডের মধ্যে যা হল, তা ক্রিকেটের অত্যন্ত খারাপ বিজ্ঞাপন। এমন অপরাধের জন্য আরও বেশি শাস্তি প্রাপ্য ছিল দু’জনেরই। যদিও ওদের যে জরিমানা করা হয়েছে (পোলার্ডকে ম্যাচ ফি-র ৭৫ শতাংশ ও স্টার্ককে ৫০ শতাংশ) সেটাও কম নয়।

রবি শাস্ত্রী

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৪ ০৩:৩৫
উত্তপ্ত আইপিএলের দুই চরিত্র পোলার্ড ও স্টার্ক।

উত্তপ্ত আইপিএলের দুই চরিত্র পোলার্ড ও স্টার্ক।

কাউকে শারীরিক আক্রমণের চেষ্টা বা বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণআর যাই হোক, খেলার মাঠে এগুলো বরদাস্ত করা যায় না। মঙ্গলবার রাতে ওয়াংখেড়েতে স্টার্ক আর পোলার্ডের মধ্যে যা হল, তা ক্রিকেটের অত্যন্ত খারাপ বিজ্ঞাপন। এমন অপরাধের জন্য আরও বেশি শাস্তি প্রাপ্য ছিল দু’জনেরই। যদিও ওদের যে জরিমানা করা হয়েছে (পোলার্ডকে ম্যাচ ফি-র ৭৫ শতাংশ ও স্টার্ককে ৫০ শতাংশ) সেটাও কম নয়।

বিপক্ষ প্লেয়ারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার এক জিনিস। মাঠে টিটকিরি দিতে পারো, কথা কাটাকাটি করতে পারো, একে অপরকে ‘দূর হও’ বলতেও পারো। এ সব তবু সহ্য করা যায়। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিকে মারপিটের জায়গায় নিয়ে যেতে পারো না। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-আরসিবি ম্যাচের ঘটনাটা সেই সীমাই ছাড়িয়ে গিয়েছে। পোলার্ড-স্টার্ক ব্যাট-বলকে অস্ত্র বানিয়ে গুন্ডামি করতে গিয়েছিল। একটা নয়, একাধিক অপরাধ করতে যাচ্ছিল ওরা। আম্পায়ারের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, সরঞ্জামের অপব্যবহার, দল-মালিকের বদনাম, স্পনসরদের অবমাননা এবং সবচেয়ে বড় কথা, যে খেলাটা থেকে তুমি রোজগার করছ, সেই খেলার স্পিরিটে আঘাত করতে গিয়েছিল। এতগুলো অপরাধের শাস্তি তখন নিশ্চয়ই শুধু জরিমানায় হত না।

উস্কানি দেওয়ার অভ্যাসটা বেশ পছন্দ মিচেল স্টার্কের। এই তো সে দিনের ঘটনা! ওর একটা তীব্র গতির শর্ট বল বীরেন্দ্র সহবাগের হেলমেটে সপাটে ধাক্কা খেয়ে সোজা বাউন্ডারিতে চলে যাওয়ার পর ও বীরুকে বেশ ভাল রকম কথা শুনিয়ে দেয়। এটা তাও সহ্য করা যায়। কিন্তু পোলার্ড তো ওয়াংখেড়েতে স্টার্ককে ব্যাট ছুড়ে মারার মুডে ছিল। দু’জনকে শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া উচিত হয়নি বোধহয়, সেই সঙ্গে কড়া ভাবে সতর্ক করে দিলেও ভাল হত।

ওই ম্যাচেই চাহালও ব্যাটসম্যানকে আউট করার পর তার উদ্দেশ্যে কটুক্তি করেছিল। যা শুনে আম্পায়াররা চটেও গিয়েছিলেন। চাহালের সৌভাগ্য যে, যুবরাজ সিংহ মজা করতে করতে ব্যাপারটাকে হালকা করে ক্ষুব্ধ আম্পায়ারদের সামলে নেয়। এ সব ক্ষেত্রে দেখছি বোলাররাই প্রথমে সীমা ছাড়াচ্ছে।

ক্রিকেটারদের মাথায় রাখা উচিত, সে যত ভালই পারফর্মার হোক, এই সব দুর্ব্যবহারের জন্য কিন্তু নিজেকে ভাল মানুষ প্রমাণ করতে পারবে না। এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে উত্তেজনা থাকেই। প্লেয়ারদের প্রচুর অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হয়। সেটা হলেও মেজাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ, এই খেলাটার প্রতিনিধি তুমিই। এটা সর্বদা মাথায় রাখা উচিত।

ipltag pollard ravi shastri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy