দুশ্চিন্তা সঙ্গী হাবাস-গার্সিয়ার।
ফিকরু তেফেরা কি রবিবার গোয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে শুরু করবেন? অর্ণব মণ্ডলের চোটের অবস্থা কী? হোফ্রে কি ম্যাচ ফিট?
ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের আগে আটলেটিকো শিবিরে যখন একগুচ্ছ চিন্তা, তখন আন্দ্রে সান্তোস, গ্রেগরিদের পেয়ে গোয়া কোচ জিকোর মুখে হাইভোল্টেজ হাসি।
টিম সূত্রে খবর, ফিকরুর হ্যামস্ট্রিং চোট এখনও সারেনি। তাই এ দিন অনুশীলন না করে ড্রেসিংরুমে মেডিক্যাল টিমের সঙ্গেই সময় কাটান তিনি। ফিকরু যদি একান্তই না খেলতে পারেন, তাঁর জায়গায় স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আর্নাল লিবার্টকে তৈরি রাখছেন আন্তোনিও হাবাস। এ দিন সন্ধেয় যুবভারতীর অনুশীলনে ইঙ্গিত তেমনই। আর্নালকে স্ট্রাইকারে রেখেই প্র্যাকটিস করান আটলেটিকো কোচ। আর্নালও বলেন, “ফিকরু না খেলতে পারলে আমি তৈরি। সে ভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে আর তিনটে ম্যাচ। প্রতিটা ম্যাচকে ফাইনাল ধরেই এগোচ্ছি।” এরই মাঝে এ দিন সকালে পরিবার নিয়ে দক্ষিণেশ্বর গিয়েছিলেন। ঘুরে দেখেন গঙ্গার পাড়ও।
তবে ফিকরুকে সুস্থ করে তোলার প্রয়াসে খামতি নেই আটলেটিকোর। ফিকরু প্রসঙ্গে কোচ হাবাস যদিও বলছেন, “ফিকরুর জন্য কাল অবধি অপেক্ষা করতে রাজি আছি।” ফিকরু না খেললে আর্নালের সঙ্গে ফরোয়ার্ডে থাকতে পারেন মহম্মদ রফি। হোফ্রে সুস্থ না হলে পদানি তো রয়েছেনই। ফিরছেন লোবোও। ম্যাচ ফিট হয়ে ওঠার পথে নাতো। এ দিন তিনি হাল্কা প্র্যাকটিসও করলেন। অর্ণবের বিকল্প রাকেশ মাসি বা সিলভঁ মনসুরু।
হাবাসের মাথায় যখন এত চিন্তা, তখন ফুরফুরে মেজাজে জিকো। এ দিন যুবভারতীতে প্রথম দল নিয়ে দেড় ঘণ্টা অনুশীলন করলেন। ফিটনেস ট্রেনিং, বল নিয়ে অনুশীলন ছাড়াও দুটো টিম করে ম্যাচ খেলিয়ে দেখেও নেন ফুটবলাররা কে কী রকম অবস্থায় রয়েছেন। জিকো কিছু না বললেও তাঁর দলের মার্কি ফুটবলার রবার্ট পিরেস যা বলে যান, তা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। “শুধু অ্যাওয়ে গোল করলে হবে না। ম্যাচটা জেতাই আসল লক্ষ। প্রথম দলের অনেকে ফিরলেও সতর্ক থাকতে হবে।” যুবভারতীর কৃত্রিম ঘাস নিয়ে অবশ্য আশঙ্কা গোপন করেননি তিনি।
এ দিকে, সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচেই দাক্ষিণাত্যের ডার্বি: চেন্নাইয়ান এফসি বনাম কেরল ব্লাস্টার্স। ধোনি বনাম সচিন। শনিবারের ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে কেরলের মার্কি ফুটবলার কাম ম্যানেজার ডেভিড জেমসের মন্তব্য, “চেন্নাই তো আর গোয়া নয়, তাই সেমিফাইনালে চেন্নাই যে তুড়ি মেরে বেরিয়ে যাবে তা হচ্ছে না।”
যা শুনে লিগ টেবিলের শীর্ষে শেষ করা চেন্নাইয়ানের কোচ মার্কো মাতেরাজ্জি আবার প্রতিপক্ষকে সমীহ করে বলছেন, “ঘরের মাঠে কেরল সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে আমরা পুরো দল পাচ্ছি এটা নিশ্চয়ই প্রতিপক্ষের শুনতে ভাল লাগবে না।”
কোচির নেহরু স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের ম্যাচে সেড্রিক হেঙ্গবার্ট বনাম জেজে, হিউম বনাম নেস্তা, মেহতাব বনাম ব্রুনো, বলবন্ত বনাম পিয়ার্সন সম্মুখসমরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-ই হবে। লিগে হোম এবং অ্যাওয়ে দু’ম্যাচেই তিন পয়েন্ট পকেটে পুরে মাঠ ছেড়েছিল অভিষেক বচ্চন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের দল। এ বার কি ঘরের মাঠে প্রতিশোধ নেওয়ার পালা ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের ছেলেদের? সচিনের দলের ব্রিটিশ কোচ মন্তব্য করতে চাননি। তিনি ব্যস্ত হোম ম্যাচে দর্শক সমর্থনের সুবিধা নিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচের আগে স্বস্তিতে থাকার অঙ্ক কষতে।
ফাইনালে ওঠার যুদ্ধের আগে দুই শিবিরের ছবি তুলেছেন উত্পল সরকার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy