নতুন বল নিয়েই জ্বলে উঠলেন বাংলার বোলাররা। বরোদাকে ৩৫৪ রানে গুটিয়ে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে গেল বাংলা। ফলে তিন পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লরা। দীপক হুদার সেঞ্চুরি সত্ত্বেও বাংলাকে টপকে যেতে পারল না বরোদা।
বাংলা অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৮-১ হয়ে গিয়েছে। বিকেলে অরিন্দম দাস আউট হয়ে যান মাত্র দু’রান করে। বুধবার শেষ দিনে ফের বরোদাকে ব্যাট করতে পাঠাবেন কি না, তা অবশ্য খুলে বললেন না ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী। রাতে ভদোদরা থেকে ফোনে বললেন, “ইনিংস কী রকম এগোয়, তার উপর নির্ভর করছে সব কিছু।” তিন পয়েন্ট যেহেতু পকেটে প্রায় চলেই এসেছে। কিন্তু পুরো পয়েন্ট তোলার জন্য কি ঝুঁকি নিয়ে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেবেন? যাতে বরোদাকে দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট করার একটা সুযোগ নেওয়া যায়। লক্ষ্মী অবশ্য কিছু ভাঙতে চাইছেন না। শুধু বললেন, “কাল বিকেলে খেলার শেষে যা বলার বলব।”
তবে বাংলা শিবিরের খবর, তিন পয়েন্ট পেয়েই খুশি তারা। বুধবার হয়তো আর ঝুঁকি নেবে না বাংলা। এ দিন হুদার সেঞ্চুরি না হলে হয়তো বরোদাকে সরাসরি হারানোর জায়গায় চলে আসত বাংলা। কিন্তু অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য হুদাই সেই জয়ের সম্ভাবনা ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন বাংলার হাত থেকে। দিনের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে ইরেশ, সৌরাশিসরা ফেরানোর পর বাকি কাজটুকুর দায়িত্ব নেন অশোক দিন্দা। হুদাকে তিনিই আউট করেন। তাঁর তিন শিকার। বীর প্রতাপ, সৌরাশিস, লক্ষ্মীদের দু’টি করে। প্রথম ইনিংসে ১০১-এর লিড নেওয়ার পর বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে দিনের শেষে অরিন্দমকে হারিয়েছে। বুধবার সারা দিন ভাল ব্যাটিং প্র্যাকটিসের সুযোগ তাঁদের সামনে। না কি অন্য কিছু ভেবে রেখেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল?
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলা ৪৫৫ ও ৮-১, বরোদা ৩৫৪ (হুদা ১১৪, দেবধর ৮৭, দিন্দা ৩-৯২)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy