Advertisement
০৮ মে ২০২৪

ভারী কোর্টই সার্ভ-ভলির বারোটা বাজাচ্ছে, বলছেন লিয়েন্ডার

টেনিসের সনাতনপন্থীরা গেলে গেল রব তুললেও এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, পেশাদার টেনিসে সার্ভ ও ভলি প্রায় লুপ্তপ্রায় শিল্প হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকে অনেক কিছু বললেও ভারতীয় টেনিস কিংবদন্তি লিয়েন্ডার পেজের বিশ্লেষণ, কোর্ট তৈরির নতুন পদ্ধতিই শেষ করে দিচ্ছে সার্ভ ও ভলির শিল্প। যাঁকে অনায়াসে টেনিস সার্কিটের প্রবীন নাগরিক বলা যায়। নব্বইয়ের দশকে পেশাদার সার্কিটে নামা সেই লিয়েন্ডার বলছেন, “যখন কেরিয়ার শুরু করি, তখন টেনিস ছিল খুব গতিময়। ২০০০-এর পর থেকে বল ভারী হতে শুরু করল আর কোর্টেও বালির পরিমান ক্রমশ বাড়ানো শুরু হল।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৪১
Share: Save:

টেনিসের সনাতনপন্থীরা গেলে গেল রব তুললেও এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, পেশাদার টেনিসে সার্ভ ও ভলি প্রায় লুপ্তপ্রায় শিল্প হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকে অনেক কিছু বললেও ভারতীয় টেনিস কিংবদন্তি লিয়েন্ডার পেজের বিশ্লেষণ, কোর্ট তৈরির নতুন পদ্ধতিই শেষ করে দিচ্ছে সার্ভ ও ভলির শিল্প।

যাঁকে অনায়াসে টেনিস সার্কিটের প্রবীন নাগরিক বলা যায়। নব্বইয়ের দশকে পেশাদার সার্কিটে নামা সেই লিয়েন্ডার বলছেন, “যখন কেরিয়ার শুরু করি, তখন টেনিস ছিল খুব গতিময়। ২০০০-এর পর থেকে বল ভারী হতে শুরু করল আর কোর্টেও বালির পরিমান ক্রমশ বাড়ানো শুরু হল। আগে ২০ টন বালি দিয়ে একটা কোর্ট বানানো হত। সেটা বেড়ে হল ৩০ টন। এখন তো একেকটা কোর্ট বানাতে ৪৫ টন বালি ব্যবহার করা হয়। তাই কোর্ট এখন অনেক স্লথ। সার্ভ আর ভলিরও বারোটা বেজে গিয়েছে।”

চোদ্দটি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী ৪১ বছর বয়সি লিয়েন্ডার, যিনি রবিবার চেন্নাই ওপেনের ডাবলস ফাইনালে নামছেন, তাঁর বক্তব্য, “সার্ভ ও ভলি প্লেয়ারদের মধ্যে শুধু নোভাক জকোভিচ ও ফেলিসিয়ানো লোপেজ টিকে আছে। জকোভিচই অবশ্য সেরা। কারণ, ও জানে ঠিক কখন নেটে আসতে হয়। এই ব্যাপারটাই ওর ভলি-প্রবণতা জিইয়ে রাখে।” এই ব্যাপারে রজার ফেডেরারও তেমন সাবলীল নন বলে মনে করেন লিয়েন্ডার। তাঁর মতে, “ফেডেরার যখন জকোভিচ, মারে, নাদালদের বিরুদ্ধে খেলে, তখন নেটে এসে খেলতে খুব ইতস্তত বোধ করে। ঝঁুকি নিতে চায় না।”

ইতিমধ্যেই ছ’বার চেন্নাই ওপেন খেতাব জেতা লিয়েন্ডার পেজ রবিবার র্যাভেন ক্লাসেনকে নিয়ে সপ্তম খেতাব জয়ের লক্ষ্যে ফাইনালে নামার আগে বললেন, “সংখ্যা নিয়ে ভাবি না। চেন্নাইয়ে এক সপ্তাহ থাকতে পারলাম, এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার। এখানে আর একটা খেতাব জিততে পারলে দুর্দান্ত ব্যাপার হবে।” ক্লাসেনের সঙ্গে তাঁর জুটি নিয়ে লিয়েন্ডার বলেন, “আজ অল্পস্বল্প বোঝানো গেল, আমরা দু’জনে একসঙ্গে কোর্টে কী করতে পারি। গত কালের ম্যাচটা (মহেশ ভূপতিদের বিরুদ্ধে) বরং বেশ কঠিন ছিল। ফাইনালে উঠে খুব ভাল লাগছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

leander paes tennis serve and volley
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE