চ্যাম্পিয়ন রঞ্জিত। শনিবার।
বালাজিকে ফাইনালের অনেক পরে রানার্স ট্রফি নেওয়ার জন্য টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর শর্মিন মুখোপাধ্যায় যখন নেটের ধার থেকে পিঠে সান্ত্বনার হাত দিয়ে ডাকছেন, তখনও শীর্ষ বাছাই তামিল মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে! যাঁকে ডেভিস কাপ দলে এআইটিএ-তে অনেক চেঁচামেচি করে ভারতীয় টেনিস প্লেয়ারদের প্রিয় কর্তা কার্তি চিদম্বরম সদ্য ঢুকিয়েছেন, তাঁর শনিবার জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের অ্যাকাডেমিতে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া রঞ্জিতের কাছে আইটিএফ ফিউচার্স ফাইনালে বিনা লড়াইয়ে ৩-৬, ৪-৬ হারের চেয়েও তাত্পর্যের ম্যাচ শেষে স্বীকারোক্তিটা।
“কোর্টে পা দুটো যেন চলছিল না! নাগাড়ে খেলে যাচ্ছি। ক্লান্ত লাগছে!” যাঁকে কি না ডেভিসে পরের প্রজন্মের অন্যতম সিঙ্গলস প্লেয়ার ভাবা হচ্ছে, চব্বিশেই তাঁর ঊনত্রিশের প্রতিপক্ষের সামনে এ হেন আত্মসমর্পণ! রঞ্জিতের আবার যেন পুনর্জন্ম ঘটল কলকাতায়। কুঁচকির চোট সারিয়ে সদ্য পেশাদার ট্যুরে ফিরে বছরের প্রথম খেতাব পেলেন টুর্নামেন্টে একটিও সেট না হেরে। অংশগ্রহণকারী দুই বিদেশিকেই হারিয়ে। স্লো হার্ডকোর্টে রঞ্জিতের লম্বা র্যালির টেনিস বাড়তি সুবিধে পায়। সেটা এখানকার কোর্টে পেয়েছেন, নিজেও স্বীকার করছেন।
তার পরেও অবশ্য প্রশ্ন থাকছে, ‘ফিউচার্স’ কোনও ভবিষ্যত্ দেখাতে পারল ভারতীয় টেনিসকে? তবে সেটা দেখতেই বা ক’জন ছিলেন? শহরের অন্য টেনিস অ্যাকাডেমি তো কোন ছার, জয়দীপের নিজের অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থীরাও দুই ডেভিসকাপারের ফাইনাল দেখতে আগ্রহী হয়নি। দুই সন্তান-সহ যে অভিভাবকটি ব্যতিক্রম, তাঁর জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখতে পারতেন সংগঠকেরা!
সেরা উত্কর্ষ: দুর্গাপুরে পূর্বাঞ্চল জাতীয় র্যাঙ্কিং টেবল টেনিসের জুনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হল দিল্লির উত্কর্ষ গুপ্তা এবং তেলেঙ্গানার শ্রীজা আঙ্কুলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy