Advertisement
E-Paper

স্টেইন থাকলেও একটা বাড়তি স্পিনার চাই দক্ষিণ আফ্রিকার

ডেল স্টেইনের দৌলতে পেস বোলিংয়ের এক অসাধারণ স্পেল দেখার সুযোগ পেলেন ক্রিকেট অনুরাগীরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মরণ-বাঁচন ম্যাচে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে স্টেইন যে বোলিংটা করল, এক কথায় অনবদ্য। দেখতে-দেখতে কেমন একটা ঘোর লেগে যায়! এক দিকে, বোর্ডে বিশেষ রান নেই।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৪ ০৪:১৩

ডেল স্টেইনের দৌলতে পেস বোলিংয়ের এক অসাধারণ স্পেল দেখার সুযোগ পেলেন ক্রিকেট অনুরাগীরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মরণ-বাঁচন ম্যাচে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে স্টেইন যে বোলিংটা করল, এক কথায় অনবদ্য। দেখতে-দেখতে কেমন একটা ঘোর লেগে যায়! এক দিকে, বোর্ডে বিশেষ রান নেই। অন্য দিকে, ব্যাট হাতে বিধ্বংসী মেজাজে রস টেলর এই অবস্থায় স্টেইনের কাজ মোটেই সহজ ছিল না। কিন্তু আসল সময় ঝুলি থেকে ধ্রুপদী একটা স্পেল বের করে এনে স্টেইন বোঝাল, কেন ও এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলার।

ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা জেতায় ক্রিকেট ভক্তরা নিশ্চয়ই খুশি। এত বড় টুর্নামেন্ট থেকে বিশ্বের প্রথম সারির একটা টিম এত তাড়াতাড়ি ছিটকে যাক, কেউই চায়নি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে দু’প্লেসিদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যেতে বাধ্য। এ বার নেদারল্যান্ডসের মতো সহজ টিমের বিরুদ্ধে নিজেদের খামতিগুলো ঘষেমেজে নেওয়ার চেষ্টায় থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকানরা।

যেমন, স্টেইনের মতো বিশ্বের সেরা পেসার দলে থাকলেও সেমিফাইনাল লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিন্তু এখন থেকেই এক জন বাড়তি স্পিনার খেলানোর বিষয়টা ভেবে রাখতে হবে। কারণ, দু’টো সেমিফাইনালই হবে মিরপুরের উইকেটে। যেখানে বাউন্সের সঙ্গে টার্নও আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা কী ভাবে নিজেদের আক্রমণে বাড়তি স্পিনারের জায়গা বের করবে সেটা ওদের ব্যাপার। তবে আমার মতে, ওদের টিম ম্যানেজমেন্ট কাজটা যত তাড়াতাড়ি সেরে রাখে ততই ভাল।

নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দু’প্লেসিদের অন্যতম লক্ষ্য হবে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়াও। ওদের গ্রুপে যে রকম লড়াই চলছে, তাতে শেষে গিয়ে রান রেটই ফারাক গড়ে দিতে পারে। প্রতিযোগিতা কড়া বলেই নেদারল্যান্ডস ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক বেশি আক্রমণাত্মক খেলবে বলে আমার ধারণা। ডাচরা আবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অসহায় আত্মসমর্পণ করল। বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওরা যে ফ্লুকে ওঠেনি, সেটা প্রমাণ করতে হলে কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অনেক ভাল খেলতে হবে ডাচদের।

অন্য দিকে, ইংল্যান্ডের কপাল সত্যিই খারাপ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ১৭০ করার পরেও বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে ওদের ডাকওয়ার্থ লুইসে হারতে হল। না হলে, চট্টগ্রামের ওই উইকেটে কিন্তু ১৭০ যথেষ্ট ভাল স্কোর। চট্টগ্রামে বল উইকেটে পড়ে ব্যাট আসছে, বাউন্সও ভাল। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের পেসারদের জন্য আদর্শ! তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড কী ভাবে ব্যাট করে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। বড় রান তুলতে না পারলে কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলা যাবে না। শ্রীলঙ্কা আবার ম্যাচটা জিতে প্রথম টিম হিসাবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে নিতে চাইবে।

এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলে দেখিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মাত্র পাঁচ ওভারে রান তুলে ফেলে নেট রান রেটের দিক থেকেও ভাল জায়গায় চলে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। মনে হয়, ওদের টিম কম্পোজিশন যা, তাতে মিরপুরের উইকেটে শ্রীলঙ্কা আরও ভাল খেলবে।

আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে

দক্ষিণ আফ্রিকা: নেদারল্যান্ডস (চট্টগ্রাম, ৩-০০)

শ্রীলঙ্কা: ইংল্যান্ড (চট্টগ্রাম, ৭-০০)

t-20 world cup
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy