টানা পাঁচটা জয় যে কোনও টিমেরই চেহারা বদলে দিতে পারে। আমাদেরও দিয়েছে। তা ছাড়া টুর্নামেন্টের শুরুতে আমাদের যে ভুলগুলো হচ্ছিল সেগুলোও শুধরে নিতে পেরেছি। এ বার বাকি দুটো ম্যাচের মধ্যে অন্তত একটা জিততে পারলেই প্লেঅফে যাওয়া নিশ্চিত। এক সময় সাতটা ম্যাচের মধ্যে পাঁচটা হেরে পিছিয়ে পড়া একটা টিমের পক্ষে যা বিরাট কৃতিত্ব হবে।
আমাদের টানা জেতা পাঁচটা ম্যাচে রবিন অবিশ্বাস্য খেলেছে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট আর বেপরোয়া ক্রিকেটের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চললেই সাফল্য আসে। যেটা রবিন করে দেখাচ্ছে। প্রথম দিকে কয়েকটা ম্যাচে রবিন এমন সময় আউট হয়ে গিয়েছিল, যখন ম্যাচটা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। সেই ভুল আর করবে বলে মনে হয় না। অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা জানে ফর্মের ডানায় ভর করে উড়তে শুরু করলে সেটাকে যতটা সম্ভব উপভোগ করতে হয়। চেষ্টা করতে হয় সেটাকে ধরে রাখার। কেন না ফর্ম বাবাজি এমন একটা জীব যাকে নিয়ে আগাম কিছু বলা যায় না। ঘুণাক্ষরেও কিছু না জানিয়ে কোনও কারণ ছাড়াই যখন তখন আপনাকে ছেড়ে যেতে পারে। তাই ব্যাটা কাছে এসে বসলে রাজার হালে রাখতে হয়, তোষামোদও করতে হয়। রবিন ঠিক সেটাই করছে। স্বাভাবিক ভাবেই গত দু’টো ম্যাচে টিমে না থাকায় আমি কিছুটা হলেও হতাশ। তবে এই হতাশাটা স্বাস্থ্যকর। কারণ, এই অনুপস্থিতি ভিতরে ভিতরে আমার মাঠে নেমে মরসুমটা স্মরণীয় করে রাখার খিদে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি ফর্মে আছি। মানসিক আর শারীরিক দিক থেকেও মাঠে নামার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছি।
আমাদের এই টানা সাফল্যে শুধু রবিনই উজ্জ্বল, তা কিন্তু নয়। সানি নারিন আমার মতে এখনও টি-২০ ক্রিকেটের সেরা স্পিনার, আর ও ইডেনে বোলিং করতে ভালবাসে। দলে নিজের ভূমিকাটা কী আর ওর কাছে কী চাওয়া হচ্ছে সেটা জানে। চাপের মুখে শান্ত থাকতে পারে। ওভারের শেষে ওর শরীরী ভাষা দেখে কেউ বলতে পারবে না ২ রান দিয়েছে না ২২।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy