Advertisement
E-Paper

হারলেও ‘আগ্রাসী’ য়ুকির প্রশংসায় মারে

এক দিনেই আট বাছাইয়ের পতন। প্রথম রাউন্ডেই। এক জন ম্যাচের মধ্যে বমি করার পরেও গ্র্যান্ড স্লামে জেতার বিরল শক্তি দেখালেন দীর্ঘ উনিশ বছরের ব্যবধানে। আর এক প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন কোর্টেই ঘোষণা করলেন তিনি সন্তানসম্ভবা। অস্ট্রেলীয় ওপেন শুরু হতেই মেয়েদের সিঙ্গলসে নাটকের ছড়াছড়ি। এ সবের মধ্যে পুরুষ সিঙ্গলসে মহাপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত লড়াই দিয়ে ম্যাচ হেরেও শিরোনামে এক তরুণ ভারতীয়!

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:১২
ম্যাচ শেষে ফের বন্ধু। ছবি: এপি

ম্যাচ শেষে ফের বন্ধু। ছবি: এপি

এক দিনেই আট বাছাইয়ের পতন। প্রথম রাউন্ডেই। এক জন ম্যাচের মধ্যে বমি করার পরেও গ্র্যান্ড স্লামে জেতার বিরল শক্তি দেখালেন দীর্ঘ উনিশ বছরের ব্যবধানে। আর এক প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন কোর্টেই ঘোষণা করলেন তিনি সন্তানসম্ভবা। অস্ট্রেলীয় ওপেন শুরু হতেই মেয়েদের সিঙ্গলসে নাটকের ছড়াছড়ি। এ সবের মধ্যে পুরুষ সিঙ্গলসে মহাপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত লড়াই দিয়ে ম্যাচ হেরেও শিরোনামে এক তরুণ ভারতীয়!

বিশ্বের ছয় নম্বর অ্যান্ডি মারের কাছে মেলবোর্নের ড্রয়ে সবচেয়ে নীচে থাকা য়ুকি ভামব্রি (৩১৭ নম্বর) ৩-৬, ৪-৬, ৬-৭ (৩-৭) হারার পর স্বয়ং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বলে দিয়েছেন, “এটা ওর ন্যায্য র্যাঙ্কিং নয়!” আর য়ুকি বলেন, “ভয় ছিল ০-৬, ০-৬, ০-৬ হারার। কিন্তু ম্যাচটা যত গড়িয়েছে ততই আমার খেলতে সুবিধে হচ্ছিল।” মারের স্বীকারোক্তি, “য়ুকির সঙ্গে আগে আমার খেলা তো দূরের কথা, কোনও দিন ওকে খেলতেই দেখিনি। কখনও হিটিং করিনি ওর সঙ্গে। ফলে আজ ওর বেসলাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলা, আমার সার্ভিসে ওর আক্রমণাত্মক রিটার্ন-স্টাইল আমাকে সমস্যায় ফেলেছে। একটা সময় ম্যাচটা বেশ গড়বড়ে হয়ে দাঁড়াচ্ছিল আমার জন্য।” তৃতীয় সেটে য়ুকি মারেকে ভেঙে ৩-১ এগিয়েও সেটটা টাইব্রেকারে হেরে যান।

এ দিন ফেডেরার, শারাপোভাদের জয়ের দিন নাদাল আরও সহজে ইউঝনিকে ৬-১, ৬-২, ৬-২ হারালেও তাঁর পারফরম্যান্সের কাটাছেঁড়াই হল বেশি। নাদালের “এ রকম খেলেই গ্র্যান্ড স্ল্যামে ফিরতে চেয়েছিলাম’ মন্তব্যকে টেনিসমহল মনে করছে, এটা বক্তার ইঙ্গিত তাঁকে নিয়ে সন্দেহের জবাব! বিজিত ইউঝনি পর্যন্ত বলেন, “সাংবাদিকেরাই নাদালের শরীর আর মাথা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল। কিন্তু মনে রাখা উচিত, লোকটা এখানে আগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর এ বছর কোনও ম্যাচ না জিতে যেমন এখানে এসেছে, তেমনি কোনও চোট নিয়েও আসেনি এখানে। নাদালের দিকে কিন্তু নজর রাখতে হবে।” যেমন মেয়েদের সিঙ্গলসে ক্রিস্টিনা ম্যাকহ্যালে।

ম্যাচের মধ্যে বমি করেও শেষ পর্যন্ত জিতে কোর্ট ছাড়েন এই মার্কিন। তাও মীমাংসাসূচক তৃতীয় সেট ১২-১০ ম্যারাথন স্কোরে। যার পর এই ক্রিস্টিনার স্ট্যামিনার প্রশংসার পাশাপাশি উঠে আসছে কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসের ১৯৯৬-এ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে অনুরূপ শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও ম্যাচ জেতার কথা। ক্রিস্টিনার চেয়ে এ দিন কম আলোচিত নন লি না। গত বারের চ্যাম্পিয়ন সদ্য অবসর নিয়ে মেলবোর্নে এসেছেন এবং দর্শকদের তুমুল করতালির মধ্যে বলেন, “আমি মা হতে চলেছি। ডেনিস (স্বামী তথা বহু দিনের কোচ) একটাই ‘এস’ সার্ভ করল!” ইভানোভিচের অবশ্য আজ এ রকম হাসির দিন ছিল না।

সদ্য ব্রিসবেন ফাইনালিস্ট সাত বছর আগে ফরাসি ওপেন জেতার পর থেকে তাঁর গ্র্যান্ড স্ল্যামে স্নায়ুর ঠকঠকানির আরও একবার প্রমাণ দিয়ে এ দিন প্রথম রাউন্ডেই হারলেন চেক মেয়ে লুসি হ্রাদেকার কাছে। ৬-১, ৩-৬, ২-৬। ইভানোভিচের আরও সাত হতভাগ্য সঙ্গীর মধ্যে লিসিকি, কেরবার, কুজনেত্‌সোভার মতো বড় নামও আছে।

yuki praise marey singles australian open
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy