প্রতীকী ছবি।
কনেযাত্রীদের বাস রাখা নিয়ে গোলমালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেল বিপ্লব বিশ্বাস (১২) নামে এক বালক। শুক্রবার দূর সম্পর্কের এক দিদির বৌভাতে সে গিয়েছিল কোচবিহারের ডাউয়াগুড়িতে। সন্ধেয় উত্তর খাগড়াবাড়ি থেকে একটি বাসে করে জনা সত্তর কনেযাত্রী পৌঁছে যান পাত্র সঞ্জয় দাসের বাড়ি। অনুষ্ঠানের তাল কাটে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ। বাস নিয়ে গোলমাল শুরু হয়। তখনই গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তার পরেই দেখা যায়, রক্তে ভেসে যাচ্ছে বিপ্লবের দেহ। তার বুকের ডান দিকে ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে গুলি।
শনিবার পুলিশ সঞ্জয় এবং তার ভাই দীপঙ্করকে গ্রেফতার করেছে। সঞ্জয় একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করেন। তাঁর দাবি, ‘‘গোলমালের আওয়াজ শুনে বাইরে গিয়েছিলাম। তখন গুলির শব্দও পাই। কিন্তু কে গুলি করেছে, জানি না।’’ পুলিশের অনুমান, প্রতিবেশী কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে সঞ্জয়দের বিবাদেই এই কাণ্ড ঘটেছে। ভয় দেখাতে বা অন্য কারও উদ্দেশে গুলি ছোড়া হয়, কিন্তু তা গিয়ে লাগে বিপ্লবের গায়ে। পুলিশের ধারণা, গুলি চলেছে পাইপগান বা ওয়ান শটার থেকে। শুক্রবার ঘটনাস্থলেই মারা যান বিপ্লব। তার বাবা পৃথ্বীশ দেবনাথ ট্রেনে জিনিসপত্র ফেরি করেন। বিপ্লবের মা জানান, তাঁর ছেলে অসুস্থ ছিল। তার মধ্যেই আত্মীয়ের বিয়েতে ক’দিন ধরেই আনন্দ করছিল। কিন্তু এমন ঘটতে পারে তাঁরা ভাবেননি।
ভোটের মুখে এই ভাবে সামান্য কারণে গুলি চলায় উদ্বিগ্ন সীমান্তবর্তী জেলা কোচবিহারের মানুষ। প্রথম দফার ভোটই এই এলাকায়। ইতিমধ্যেই লাইসেন্স রয়েছে, এমন আগ্নেয়াস্ত্র জমা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৮ মার্চের মধ্যে এমন সব আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের কাজও জোরকদমে শুরু হয়েছে বলে জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত জানিয়েছেন। তিনি জানান, এই ঘটনাতেও কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এল, তার তদন্ত চলছে। কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোযের দাবি, ‘‘বিজেপির হাত ধরেই জেলায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি মালতি রাভার অবশ্য পাল্টা দাবি, তৃণমূলই সারা রাজ্যে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy