বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দু’দিন দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওই ধর্মঘটে বাধা না দেওয়ার জন্য রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বারবার আহ্বান জানাচ্ছে বামেরা। তৃণমূল ওই ধর্মঘটকে শেষ পর্যন্ত সমর্থন করলে তাদের ডাকা ১৯ জানুয়ারির ব্রিগে়ড সমাবেশে যাওয়ার কথা ভেবে দেখা যেতে পারে এ বার ইঙ্গিত দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ধর্মঘটে তৃণমূলের সমর্থনের বিনিময়ে তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে ব্রিগে়ডে যাওয়ার কথা না বললেও তাঁর এমন ইঙ্গিতে বিড়ম্বনায় পড়েছে সিপিএম! কারণ, তৃণমূলের ব্রিগে়ডে হাজির হওয়ার সম্ভাবনা আগেই খারিজ করে দিয়েছে সিপিএম-সহ বামফ্রন্টের নানা শরিক দল।
ধর্মঘট ভাঙতে রাজ্য সরকার যাতে পদক্ষেপ না করে, সেই আর্জি জানিয়ে বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সি্টু, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি-সহ নানা শ্রমিক সংগঠন। অনাদি সাহু, কামরুজ্জামান কামার, উজ্জ্বল চৌধুরীদেরও বক্তব্য, ধর্মঘট কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ডাকা হলেও তাঁরা নীতিগত ভাবে ধর্মঘটের বিরোধী। পার্থবাবুর কথায়, ‘‘ধর্মঘট ছাড়াও প্রতিবাদ করা যায়।’’
বারাসতের হেলাবটতলা মোড় থেকে ডাকবাংলো হয়ে চাঁপাডালি মোড় পর্যন্ত বুধবার ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে হেঁটেছেন বিমানবাবু। মিছিলে ভিড় ছিল ভালই। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভার পরে বিমানবাবু প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেন এতে আখেরে বিজেপির সুবিধা হবে। সেই সঙ্গেই বলেন, ‘‘বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তৃণমূলও নিজেদের কেন্দ্র-বিরোধী বলে দাবি করে। যদি তা-ই হয়, তা হলে তৃণমূলের উচিত ধর্মঘট সমর্থন করা।’’ তৃণমূল সমর্থন করলে তাঁরা কি তাদের ব্রিগেডে যাবেন? বিমানবাবু বলেন, ‘‘সমর্থন করলে তখন বাকি বিষয় ভাবা যাবে।’’ বাকি বিষয় মানে কি তৃণমূলের ব্রিগেডে যোগ দেওয়া? বিমানবাবুর জবাব, ‘‘ভেবে দেখব বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy