বিজেপির মিছিল। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র
আসবেন বলে এক বার জানিয়েও শেষ পর্যন্ত শনিবার কলকাতায় আসছেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ফলে সব কাজ ফেলে তড়িঘড়ি কলকাতায় ছোটার দরকারও পড়ছে না দলের জেলা নেতাদের। বরং দলের নির্দেশে তাঁরা এখনও রথযাত্রার প্রস্তুতিই নিচ্ছেন।
রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে শুক্রবার জেলার নানা জায়গায় মিছিল ও অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে ওই হামলা হয়। এ দিন সকালে শান্তিপুরের গোবিন্দপুরের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। প্রায় আধ ঘণ্টা চলে সেই অবরোধ। মিছিল বের করা হয় রানাঘাট কোর্ট মোড়ের কাছে দলীয় অফিসের সামনে থেকেও। জেলাসদর কৃষ্ণনগরেও বিক্ষোভ ও মিছিল করা হয়েছে।
বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’র ভবিষ্যৎ আপাতত আদালতে ঝুলে রয়েছে। কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে বরং রথযাত্রায় ‘বাধা’ ও তার পাল্টা প্রতিরোধকেই রাজনৈতিক হাতিয়ার করে তুলতে চাইছে অমিত শাহের দল। জেলায় নির্দেশ এসেছে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার জন্য জেলা জুড়ে যে সব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তা যথাযথ ভাবে পালন করে যেতে। অর্থাৎ রথযাত্রা হবেই ধরে নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রস্তুতিসভা চালিয়ে যেতে।
বিজেপির এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘আমরা বিষয়টি হালকা ভাবে নিতে রাজি নই। কারণ, আগামী ১১ জানুয়ারি কৃষ্ণনগরে নরেন্দ্র মোদীর সভার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আমরা সেই সভা সফল করার জন্যও সব রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।’’ জেলা বিজেপি নেতৃত্বের আশা, শেষ পর্যন্ত আদালত ও প্রশাসনের জট কাটিয়ে রথযাত্রা ঠিক হবেই। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাদেব সরকারও বলেন, “আশা করি, আদালতে শেষ পর্যন্ত আমাদেরই জয় হবে। এই রাজ্যের মানুষের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে আমাদের গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা বাস্তবায়িত হবে। সেই মতোই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy