Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

আজ ‘ঠান্ডা’ শিলংয়ে সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে রাজীব কুমার

সিবিআই দফতরে ডিউটি অফিসার এইচ ওয়ার। দুর্নীতি দমন শাখার এই দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বিবেক দত্ত তখন ছিলেন না। কাল থেকে কি এখানেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে?

নজরে: শিল‌ং বিমানবন্দর থেকে শহরে যাওয়ার পথে রাজীব কুমার ও জাভেদ শামিম। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

নজরে: শিল‌ং বিমানবন্দর থেকে শহরে যাওয়ার পথে রাজীব কুমার ও জাভেদ শামিম। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

সুনন্দ ঘোষ ও রাজীবাক্ষ রক্ষিত
শিলং শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:০০
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নির্দেশ দেওয়ার সময়ে বলেছিলেন, ‘‘শিলং ঠান্ডা জায়গা। দু’পক্ষের মাথাই ঠান্ডা থাকবে।’’ আজ দুপুর সাড়ে তিনটের পরে রাজীব কুমার যখন শিলংয়ের বিমানবন্দরে নামলেন, তখন স্থানীয় তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার হাল্কা বৃষ্টিপাতের কথাও বলা হয়েছে। তাপমাত্রা কমে ১০-এর নীচে নেমে যেতে পারে।

পাকদণ্ডী বেয়ে সরু গলি। সেই গলিতেই ছোট্ট দফতর—পাহাড়ি ছোট বাড়ি যেমন হয়, তেমনই একটি বাড়িতে। সব ঠিকঠাক থাকলে, অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত ওকল্যান্ডের এই দফতরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা সিবিআইয়ের। শনিবার সকাল থেকে শুরু হতে চলেছে সেই জিজ্ঞাসাবাদ।

সিবিআই দফতরে ডিউটি অফিসার এইচ ওয়ার। দুর্নীতি দমন শাখার এই দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বিবেক দত্ত তখন ছিলেন না। কাল থেকে কি এখানেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে? ওয়ার এবং দফতরের আরও দু’জন কর্মী নিজেদের মধ্যে খাসি ভাষায় কিছু বলে নিলেন। তার পর জানালেন, এ বিষয়ে তাঁরা বিন্দুবিসর্গ জানেন না।

আরও পড়ুন: ‘দিদি কি লুটেরার রক্ষক?’ মমতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন মোদী​

রাজীব শিলং-এর মাটি ছুঁলেন তার ঘণ্টা দু’য়েক পরে। কালো ট্রাউজার্স, বাদামি ব্লেজার। সঙ্গে দুই সহকর্মী, কলকাতা পুলিশের দুই উচ্চপদস্থ অফিসার— জাভেদ শামিম এবং মুরলীধর শর্মা। এবং আরও দু’জন। কলকাতা থেকে একই উড়ানে আসা এক জনের দাবি, ওঁরা আইনজীবী। শিলং বিমানবন্দর থেকে রাজীবকে ভিআইপি-র মতো কনভয় করে নিয়ে গেল মেঘালয় পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতির গুরু বাণী দিচ্ছেন!’

শিলংয়ে ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যোৎবিক্রমকিশোর মাণিক্য দেববর্মার প্রাসাদ — ‘ত্রিপুরা কাসল’। তারই এক অংশ ভাড়া দেওয়া হয়। সেখানেই সদলবলে উঠলেন রাজীব। প্রাসাদের সেই অংশ ঘিরে নিল বিজেপি, এনপিপি-সহ বিভিন্ন দলের সরকারের পুলিশ। কলকাতা থেকে কার্যত তাঁকে তাড়া করে এসেছে মিডিয়া। এসেছে প্রশ্নবাণ। কিন্তু, নির্লিপ্ত মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন রাজীব। ত্রিপুরা কাসলে ঢোকার পরে সাংবাদিকদের সরে যেতে অনুরোধ করে মেঘালয় পুলিশই।

সময় যত যাচ্ছে, বাড়ছে রাখঢাকের বহর। একটি সূত্রে দাবি, ‘পুলিশ গেস্ট হাউস’-এ জিজ্ঞাসাবাদ হতে পারে। কারণ, সিবিআই দফতরে জায়গা কম। গোপনীয়তা রাখা কঠিন। তার চেয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে কোনও জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ হওয়াই ভাল!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE