স্বীকৃতি: উচ্চ মাধ্যমিকে সাঁওতালি বিভাগে সেরা উদয় মুর্মুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদয় রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত ঝাড়গ্রামের একলব্য স্কুলের ছাত্র। মঙ্গলবার আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে প্রশাসনিক কর্তা বাড়ন্ত। তাই মুখ্যমন্ত্রী চান, দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির কৃতীরা বেশি করে সরকারের প্রশাসনিক কাজে যোগ দিন। একই সঙ্গে রাজ্যে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের অভাব পূরণ করার জন্যও পড়ুয়াদের কাছে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, সিবিএসই, আইসিএসই, আইএসসি এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ১৩৭ জন কৃতী পড়ুয়াকে সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কৃতীদের আইএএস-আইপিএস এবং স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
দ্বাদশ-উত্তীর্ণ এবং জয়েন্টের মেধা-তালিকায় থাকা ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। কৃতীদের অনেকেই ইঞ্জিনিয়ার বা পদার্থবিদ্যার গবেষক হওয়ার স্বপ্নের কথা জানান।
কৃতীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তোমরা আইএএস হতে চাইছ না কেন? আইএএস হতে হবে তো। প্রশাসনিক কাজ চালাতে লোক চাই। তোমরা আমাদের সম্পদ। তোমরা আইএএস হও।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, সল্টলেকে সিভিল সার্ভিসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতে পারেন কৃতীরা। এর আগে দু’টি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত পড়ুয়াদেরও আমলা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও খবর
অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা!
কেউ আইপিএস হতে চাইছে না কেন, এ দিন সেই প্রশ্ন তোলেন মমতা। রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সম্বোধন করে রসিকতার ছলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সুরজিৎ-রাজীব, দেখো, কয়েক জন আইএএস হতে চাইলেও এখনও কেউ আইপিএস হতে চাইল না!’’
কৃতীদের মধ্যে এক জন জানান, তিনি ডব্লিউবিসিএস অফিসার হতে চান। মুখ্যমন্ত্রী সেই পড়ুয়াকে বলেন, ‘‘এখন আর উচ্চ পদে যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হবে না। আট বছর পরেই উঁচু পদে যেতে পারবে।’’
পাহাড়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, ডব্লিউবিসিএস এবং আইএএস পদের মাঝখানে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ প্রশাসনিক পরিষেবা (ওয়েস্ট বেঙ্গল হায়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস) নামে নতুন ক্যাডার তৈরি করা হবে। আট-দশ বছর ধরে বিসিএস অফিসার হিসেবে কাজ করার পরে ওই সার্ভিসে তাঁদের নাম বিবেচিত হবে। এ দিন ফের সেই প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
যে-সব পড়ুয়া ডাক্তার হতে ইচ্ছুক, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পরামর্শ দেন, ‘‘আমাদের তো নিউরো সার্জেন লাগবে। দুর্ঘটনা ঘটলে সব থেকে বেশি প্রয়োজন হয় এই ডাক্তারের। কিন্তু সব সময় তাঁদের পাওয়া যায় না। তোমরা নিউরো নিয়ে পড়াশোনা করো। আমাদের অনেক ডাক্তার লাগবে।’’ হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy