এ বার কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের হদিশ পেতে কোমর বেঁধে নামল ইডিও। নিজস্ব চিত্র।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে এ বার রাজ্য জুড়ে তল্লাশি অভিযানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার নাগাল এখনও পায়নি সিবিআই। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ বার কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের হদিশ পেতে কোমর বেঁধে নামল ইডিও।
সোমবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ২০টি গাড়ি করে ইডি অফিসারেরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে রাজ্যের নানা জায়গায় অভিযানে নেমেছেন। লালা-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার বাঙুর, লেকটাউনের ৩টি বাড়িতে তল্লাশি চলছে। অন্য দিকে গাড়িয়া, শ্রীরামপুর, রানিগঞ্জ, আসানসোলের ইসিএল কর্মী এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও কেন্দ্রীয় অফিসারেরা হানা দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ইডি সূত্রে খবর, কয়ালা পাচার-কাণ্ডে এ রাজ্যের সঙ্গে দুবাই-যোগ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ইসিএল, সিআইএসএফ, রেলকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাচারচক্র চালাতেন লালা। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের মাধ্যমেই বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতবদল করেছেন লালা। মনে করা হচ্ছে, কয়লা পাচারের টাকা দুবাইয়েও পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই।
আরও পড়ুন: সম্পত্তির দাবিতে বৌমার মার, বৃদ্ধ দম্পতি কোর্টে
অভিযানে প্রত্যেকের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে নথিপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস। নিজস্ব চিত্র।
গণেশ বাগাড়িয়া ছাড়াও গড়িয়াতেও এক ইসিএলকর্মীর বাড়িতে চলেছে তল্লাশি। কোন্নগরের শাস্তিনগরের বস্ত্রব্যবসায়ী নীরাজ সিংহ, অমিত সিংহের বাড়িতেও চলেছে অভিযান। কয়ালা খাদান থেকে পাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছেন ওই সব ব্যবসায়ীরা। অভিযানে প্রত্যেকের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে নথিপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের লোকজনকে।
আরও পড়ুন: চৈতন্যের ‘দীক্ষাস্থল’ তৈরি তাঁর মৃত্যুর পরে? নড্ডার মন্তব্যে বিতর্ক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy