Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দ্রুত পথে নামতে চেয়ে কংগ্রেসের ডাক বামকে

প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি শাদাব খানকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি দিল্লিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।

আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।

আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৩১
Share: Save:

দু’দলের যুব ও ছাত্রদের নিয়ে একসঙ্গে পথে নামতে চেয়ে সিপিএমকে প্রস্তাব দিল কংগ্রেস। প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েই দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করবেন বলে প্রদেশ যুব কংগ্রেসকে জানিয়েছেন সিপিএমের যুব নেতৃত্ব। দু’দলের যুব নেতাদের মুখোমুখি আলোচনার প্রস্তাবও বামেরা বিবেচনায় রাখছে।

প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি শাদাব খানকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি দিল্লিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। সনিয়া তাঁদের পরামর্শ দেন রাস্তায় নেমে যুব আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ানোর। যুবদের যৌথ কোনও কর্মসূচিতে রাহুল গাঁধী এলে সংগঠনের উৎসাহ বাড়বে, এ কথাও সনিয়ার কাছে বলে এসেছিলেন মান্নান। তার রেশ ধরেই বিরোধী দলনেতা মান্নান সোমবার কথা বলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে। সুজনবাবুকে তিনি প্রস্তাব দেন, কালীপুজোর পরেই উৎসব মরসুম শেষ। দু’দলের যুব সংগঠন আলোচনা করে নিয়ে জেলায় জেলায় কিছু কর্মসূচি শুরু করুক। প্রয়োজনে কিছু কর্মসূচিতে মান্নান-সুজন যেতে পারেন। সুজনবাবু তাঁকে জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা দলে আলোচনা করবেন। পরে যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রকে ফোন করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।

মান্নান পরে বলেন, ‘‘রাস্তায় নেমে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যুব ও ছাত্র সংগঠনই সব চেয়ে উপযুক্ত। নভেম্বর-ডিসেম্বর, এই দু’মাস যৌথ কর্মসূচি চালাতে পারলে মানুষের কাছে বাম-কংগ্রেসের জোট অনেকটা পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কেন্দ্রীয় কোনও কর্মসূচিতে রাহুল গাঁধী ও সীতারাম ইয়েচুরি থাকলে যৌথ কর্মসূচিতে নতুন মাত্রাও যোগ হবে।’’ সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূলকে রুখতে এখন ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক বিকল্পই গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই পদক্ষেপ করতে হবে।’’

যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাবকে সিপিএমের যুব সংগঠনের সম্পাদক সায়নদীপ জানিয়েছেন, তাঁরাও একসঙ্গে বসে পথ নির্ধারণে উৎসাহী। যুব সিপিএম সূত্রের খবর, কালক্ষেপ না করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যুব নেতারা আলিমুদ্দিনকেও আর্জি জানাবেন। পুজোর পরে কলকাতায় যৌথ মিছিল করার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন বাম নেতাদের। সিপিএম-সহ বাম শরিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সোমেনবাবুকে জানিয়েছেন, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা চূড়ান্ত মত জানাবেন। কবে জানাবেন, অপেক্ষা এখন তারই!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Congress CPM Abdul Mannan Sujan Chakraborty
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE